
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের চিতার বাজার এলাকায় চাঁদা না দেওয়ার কারনে শাহাজাহন কাজীর পুত্র হাবিব কাজী (৩০) কে কুপিয়ে বাম পায়ের হাটুর বাটি (প্যাটেলা) দ্বীখন্ডিত ও ডান পায়ে মারাতœক জখম করেছে একই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মুঞ্জুর হোসেন তুষার (৩২)।
আহত হাবিব কাজীর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, চিতার বাজার হাটে তার একটি মুদি দোকান রয়েছে। মাঝে মাঝে সন্ত্রাসী তুষার চাঁদা নেওয়ার জন্য আসত। গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে মুদি দোকানে এসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করলে, টাকা দিতে অস্বীকার করায় মওলা বিশ্বাসের নেতৃত্বে, তুষার এর হাতে থাকা চায়নিজ কুড়াল দিয়ে হাবিবের বাম পা কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। এসময় অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জন এর হাতে থাকা লোহাড় রড এবং অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হাবিবকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এত হাবিবের বাম পায়ের হাটুর বাটি (প্যাটেল) বিভক্ত হয়ে যায়। আহত অবস্থায় হাবিব কাজীকে দ্রুত বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশংকাজনক দেখে, কত্যর্বরত ডাক্তার তাকে দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপালে প্রেরণ করে। উল্লেখ্য এই তুষার গত কয়েকমাস আগে হাবিবের ছোট ভাইকে পিটিয়ে মারাত্বক জখম করলে, বোয়ালমারী থানায় অভিযোগ করতে গেলে তুষার এর নাম শুনেই থানা পুলিশ মামলা নেননি বলে অভিযোগ করেন আহত হাবিব।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান হাবিবের পায়ের অবস্থা মারাত্বক ঝুঁকিপুর্ন, বাম পায়ের হাটুর প্যাটেল কেটে দ্বিখন্ডিত হয়ে গেছে, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা লাগতে পারে। প্রসঙ্গত আরো উল্লেখ্য যে, এর আগে চিতার বাজারের রিক্তা বেগমের স্বামী আমিনুল ইসলাম এর নিকট ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে তুষার। এই টাকা দিতে আমিনুল ইসলাম অস্বীকার করায় তাকে মেরে পঙ্গু করে দেয়। এ ছাড়াও সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার একেএম রাজিবুল হক এর কন্যা রেজওয়ানা হক রায়নাকে অপহরণ করে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করলে বোয়ালমারী থানা পুলিশ রেজোয়ানা হক রায়নাকে উদ্ধার করে। এসময় তার সঙ্গে তুষারকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। ঐ মামলায় প্রায় ২ মাস জেল হাজতে থেকে গত ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে জামিনে বের হয়ে মাদকের টাকা যোগাতেই উক্ত হাবিব কাজীর কাছে চাঁদা চেয়ে না পাওয়ায় তার পা কেটে ফেলার চেষ্টা করে। এ ছাড়াও বোয়ালমারী থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় বেপোরোয়া তুষারের হাত থেকে রেহাই পেতে পুলিশ সুপার এর নিকট তুষারের সকল অপকর্মের বিষয় তদন্ত পুর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।