November 22, 2024, 8:12 am
সর্বশেষ:
১৭ বছর বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি: আমির খসরু বান্দরবানে পর্যটকদের বিনোদনে চালু হচ্ছে ছাদখোলা বাস বান্দরবানে দু:স্থ মহিলাদের মধ্যে সেলাই মেশিন ও ভাতা প্রদান শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারকে আর্থিক সহযোগীতা করলেন যশোরের পুলিশ সুপার প্রথমবারের মতো বান্দরবানে শুরু হতে যাচ্ছে মাসব্যাপী ক্রীড়া মেলা কুয়াকাটায় ২৭ ঘন্টা পরে মিললো পাবলিক টয়লেট থেকে এক ব্যক্তির লাশ এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট ইস্যুঃ গন্ডামারা ইউনিয়নের ঐক্যবদ্ধ ছাত্র জনতার মানববন্ধন আলফাডাঙ্গা বাজার বনিক সমিতির সভাপতি নজির মিয়ার মৃত্যুতে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল কুয়াকাটায় রাস উৎসবে তীর্থ যাত্রীদের ঢল নেমেছে লোহাগাড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে মাদকসহ আটক- ৪

জাপানে করোনায় স্কুল বন্ধ ছিল মাত্র দুই মাস

  • Last update: Sunday, June 20, 2021

করোনা নিয়ে সারাবিশ্বের মানুষের মধ্যে আতঙ্কের শেষ নেই। জাপানও এর বাইরে নয়। বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উন্নত দেশ হওয়া সত্ত্বেও করোনার আঘাত মুক্ত হতে পারছে না জাপান। করোনা প্রতিরোধে দেশটির কোনো প্রযুক্তিই যেন কাজে আসছে না। তবে, সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশটির সাফল্যও একেবারে কম নয়।

সম্পূর্ণ লকডাউন না দিয়েও শুধুমাত্র এলাকাভিত্তিক জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে জাপান। এই সাফল্যের পেছনে দেশটির মানুষের সচেতনতা এবং সহযোগিতা সবচেয়ে বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকারের দেওয়া দিকনির্দেশনা মেনে চলেছে দেশটির জনগণ।

তবে, উন্নত দেশ হয়েও টিকা কার্যক্রমে অনেকটাই পিছিয়ে আছে জাপান। যদিও দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে দুই ডোজ করে টিকা নিশ্চিত করে রেখেছে দেশটির সরকার।

জাপানে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি টিকা দেয়া শুরু হয় এবং ১৭ জুন পর্যন্ত দুই কোটি ৭০ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে চলতি মাসে মোট ৪ কোটি টিকা প্রদান এবং আগামী নভেম্বরের মধ্যে সবাইকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম রোডম্যাপ অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ বয়স্কদের মাধ্যমে টিকা কর্মসূচি শুরু করেছিল।

গত বছরের ১৫ জানুয়ারি জাপানে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর প্রায় ১৮ মাস অতিবাহিত হয়েছে। এরমধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করছে জাপান। দেশটিতে এ পর্যন্ত অঞ্চলভিত্তিক মোট পাঁচবার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। জরুরি অবস্থা চলাকালে অনেক কিছু বন্ধ কিংবা আংশিক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া, নাইট ক্লাব, পানশালা ও রেস্তোরাঁ বন্ধ রেখে কিংবা খোলা রাখলে অ্যালকোহল বিক্রি না করার শর্ত দেওয়া হয়। একইসঙ্গে জরুরি অবস্থার আওতাধীন অঞ্চলে সিনেমা হল, পানশালা বা রেস্তোরাঁয় থাকা লাইভ মিউজিকের আসর বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তবুও দেশটির কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু রাখা রয়েছে। আগে যেখানে ভর্তি এবং সমাপণী পর্ব জাঁকজমকপূর্ণ এবং উৎসব মুখর পরিবেশে করা হত। সেখানে মহামারিতে শিক্ষার্থীদের স্কুল জীবন শুরু ও শেষ কিছুটা শিথিল এবং অনাড়ম্বর পরিবেশে সম্পন্ন করা হয়েছে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারি জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে থাকা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসে ১৭৫ জন করোনায় আক্রান্তের খবর প্রচার জলে ২ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত প্রাথমিক এবং জুনিয়র স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও মার্চ মাসে জাপানে স্কুলগুলো এমনিতেই ঢিলেঢালা চলে। কারণ জাপানে শিক্ষা কার্যক্রম এপ্রিল থেকে মার্চে শেষ হয়। গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বসন্তকালীন ছুটি ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এর মধ্যেও ৭ এপ্রিল নতুন বর্ষে শিশুদের স্বাগতম জানানো হয় অনাড়ম্বর আয়োজনের মাধ্যমে। পরে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করলে ৬ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

তবে, গত বছরের ১ জুন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানতে প্রথমে কিছুদিন শিফট করে ক্লাস নেওয়া হয়।

গতবছর গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে স্কুলগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়। যা অব্যাহত আছে। জাপানে সবধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক কার্যক্রম চললেও সেখান থেকে করোনা ছড়াচ্ছে কিংবা শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত হচ্ছেন- এমন কোনো তথ্য নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে।

জাপানে করোনা শনাক্তের ১৮ মাসের মধ্যে মাত্র ৫৬ দিন বা প্রায় ২ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। সেখানে করোনা শনাক্তের ১৬ মাসের মধ্যে প্রায় ১৬ মাসই বন্ধ বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

সূত্রঃ ডেইলি স্টার

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ
© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC