ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে দুই সপ্তাহের সরকারি সফরের প্রথম ধাপে আজ মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে টোকিওর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে ২৫ থেকে ২৮ এপ্রিল জাপান সফর করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিকেল ৫টায় (জাপান সময়) এই ফ্লাইট অবতরণের কথা রয়েছে। জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাকেই শুনসুকে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাবেন। বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, তাঁর সফরকালে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ক্রয় ছাড়াই প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ আটটি সমঝোতা স্মারক (এমওসি) বা চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
আগামীকাল ২৬ এপ্রিল দুই প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা ও ফুমিও কিশিদা) বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বৈঠকে এসব সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের সরকার প্রধানদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ পুনর্ব্যবহার, কাস্টমস বিষয়, মেধাস্বত্ব, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা ইত্যাদি খাতে দুই দেশের মধ্যে আটটি সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
শেখ হাসিনা ২৬ এপ্রিল জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত নৈশভোজের মধ্য দিয়ে বৈঠকের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
এটি হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ষষ্ঠ জাপান সফর। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭, ২০১০, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৯ সালে জাপান সফর করেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী একটি বিনিয়োগ সম্মেলন ও একটি কমিউনিটি সংবর্ধনা এবং কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনি কয়েকজন জাপানি নাগরিকের হাতে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ তুলে দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী ১ মে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ৫০ বছরের অংশীদারিত্বের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে টোকিও থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাবেন। ৪ মে যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য কমনওয়েলথভুক্ত দেশের রাজা ও রানি হিসেবে তৃতীয় চার্লস এবং তার স্ত্রী ক্যামিলার রাজ্যাভিষেকের জন্য লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৮ মে ঢাকার উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করবেন বলে কথা রয়েছে।