বাংলাদেশ নিয়ে এখন জাতিসংঘের মাথা ঘামানোর সময় নয় বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ তো নামকাওয়াস্তে। জাতিসংঘের কোনো কার্যকারিতা তো নাই বাস্তবে। ভালো ভালো কিছু কথা বলা ছাড়া আর কোথাও কোনো ভূমিকা আছে বলে জানা নেই।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
২৮ অক্টোবরের রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে জাতিসংঘের দেওয়া বিবৃতির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতিসংঘের বিবৃতিতে বোঝা যায় দে হ্যাভ বিন মিসলিড। আমরা বলতে চাই জাতিসংঘের আসলে এখন বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নয়।’
তিনি বলেন, ‘সুদান দেশটা আরও দুই ভাগ হয়ে যাচ্ছে। আজকে ফিলিস্তিনে কী হচ্ছে? জাতিসংঘের কথা কেউ শুনে? আজকে গাজায় যা হচ্ছে জাতিসংঘের একটি কথা কেউ শুনছে কি না? জাতিসংঘ তো নামকাওয়াস্তে। জাতিসংঘের কোনো কার্যকারিতা তো নাই বাস্তবে। বাংলাদেশের ইলেকশন নিয়ে বিভিন্ন রকম ইনফরমেশন যেতে পারে, এটাতে তো তাদের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। তাদের আসল দায়িত্বটা তারা তো পালন করতে পারছেন না।’
ইউক্রেনে তারা কিছু শব্দচয়ন করে সুন্দর সুন্দর কথা বলেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ক্লাইমেট চেইঞ্জের অবনতি ঘটছে। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল মাঝে মধ্যে সুন্দর ভাষায় আপন মনে মাধুরি মিশিয়ে ভালো-ভালো কথা বলেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের আর কোথাও তো কোনো ভূমিকা আছে বলে জানা নেই। বাংলাদেশ নিয়ে তারা মাথা ঘামাচ্ছে, আমরা অনেক ভালো আছি।’
বিএনপিবিহীন আরেকটি নির্বাচনের দিকে দেশ এগুচ্ছে কি না— জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আই ডোন্ট নো। বিএনপির অধিকার ইলেকশন করার, তারা না করলে করবে না। আমার কথা হলো বাংলাদেশের সংবিধান পরিবর্তন হচ্ছে না। সংবিধান যেভাবে বলেছে আমাদের ইলেকশন সেভাবে হবে, গণতন্ত্র ঠিক সেভাবে চলবে, এতে কে আসলো কে আসলো না দ্যাট ডাজেন্ট ম্যাটার।’
বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন হলে দেশে-বিদেশে তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কি না— এমন এক প্রশ্নের জবাবে আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্পেস দেন, সময় আসুক। বিএনপি না এলে আমরা কি তাদের জোর করে আনব? বিএনপি না এলে সংবিধান অবজ্ঞা করে নির্বাচন করব না, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু থাকবে না— এটা কেমন কথা, এটা হতে পারে না। সেটিকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ বলেন তারা বলতে পারেন।’