‘জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে সরকার পদত্যাগ না করলে পালাবার পথ খুঁজে পাবে না’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মির্জা আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন যে, আমাদেরকে নাকি তওবা করে নির্বাচনে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আমি উনাকে বলতে চাই, জনগণের কাছে তওবা করে ক্ষমা ভিক্ষা চান আপনাদের কৃতকর্মের জন্য।’
বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের অত্যাচারের অভিযোগ তুলে মির্জা আলমগীর বলেন, ‘মানুষ হত্যা করেছেন, অত্যাচার-নির্যাতন করেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটক করে রেখেছেন এবং ৩৫ লক্ষ রাজনৈতিক কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন, ছয় শ’র বেশি মানুষকে গুম করেছেন।’
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন পেশাজীবী সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, ‘যে পাপ করেছেন, সেই পাপের জন্য জনগণের কাছে করজোরে ক্ষমা ভিক্ষা চান এবং পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নইলে পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না।’
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিকে-ব্যক্তিকে যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে-আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।’
‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সরকারের ষড়যন্ত্র’
মির্জা আলমগীর বলেন, ‘আজকে যখন মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের জন্য ট্রাকের সামনে লাইন দিচ্ছে তখন আবার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে আবার প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটতে চায়। প্রত্যেক ক্ষেত্রে এই সরকার, তাদের মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করে জনগণকে পুরোপুরিভাবে একটা দুঃসহ অবস্থার মধ্যে ফেলেছে।’
দেশে গ্যাসের মজুদ থাকার পরও বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানির উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মির্জা আলমগীর। তিনি বলেন, এই সরকারের যারা উপদেষ্টা, এই সরকারের প্রশ্রয় নিয়ে যারা একছত্র ব্যবসা করছে তারা আজকে গ্যাস আমদানি করছে। সুতরাং তাদের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য আজকে সেটা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’