
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ছুটিতে বাড়ি এসে প্রতিপক্ষের পরিকল্পিত হামলার শিকার হয়েছেন কাতার প্রবাসী আতিকুর রহমান। আগামী ৩১ জুলাই প্রবাসে ফেরতের টিকেট নির্ধারিত করা থাকলেও প্রতিপক্ষের হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শরীরে মারাত্মক জখমসহ তার একটি পা ভেঙ্গে যাওয়ায় এখন তার প্রবাসে গমন অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি গত ১৯ জুলাই থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এ ব্যাপারে আহত প্রবাসীর ভাই প্রভাষক খালেদ হোসেন গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) প্রতিপক্ষের ৮জনের উপর অভিযোগ এনে আসামী করে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন।
মামলা ও এলাকাবাসীর সূত্র মতে জানা যায়, উপজেলার অজমির গ্রামের আব্দুল হান্নান, কর্ণেল আহমদ, আব্দুল হান্নান (২), কামরুল ইসলাম, চান্দ আলী, আব্দুল কুদ্দুছ, শিপন আহমদ গংরা বসতবাড়িতে যাতায়াতের জন্য একই গ্রামের হারিছ আলীর জায়গা ব্যবহার করে আসছেন। গত ১৯ জুলাই হারিছ আলী রাস্তার পাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এ কারণে আব্দুল হান্নান গংরা সীমানা প্রাচীর নির্মাণে তাকে বাঁধা দেন। এ সময় হারিছ আলীর প্রবাস ফেরত ছেলে আতিকুর রহমান তাদের আপত্তির কারণ জানতে চাইলে সংঘবদ্ধ ভাবে তারা আতিকুর রহমানের ওপর হামলা চালায়। গুরুতর আহতাবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সিলেট এমএজি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আহত কাতার প্রবাসীর ভাই সুজানগর পাথারিয়া কলেজেরে প্রভাষক খালেদ হোসেন জানান, আমাদের দেয়া জায়গার ওপর দিয়ে উনারা যাতায়াত করছেন। ওই রাস্তার সীমানাও সুষ্পষ্ট। রাস্তার পাশে দীর্ঘদিন ধরে পিলার দিয়ে আমাদের জায়গার সীমানা নির্ধারিত রয়েছে। ওই জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করলে তারা বাঁধা দেয়। কারণ জানতে চাওয়ায় তারা আমার প্রবাসী ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা চালায়। আগামী ৩১ জুলাই বিদেশ যাওয়ার জন্য আমার ভাইয়ের টিকেট নির্ধারণ ছিলো। কিন্তু তারা হামলা চালিয়ে একটি পা ভেঙ্গে দিয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় আমার ভাইয়ের বিদেশ যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শুধু হামলা করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি। আমাদের সীমানা ভেঙ্গে ফেলে, ব্যাপক গাছ কেটে নিয়ে গেছে সাথে নির্মাণসামগ্রি ও নিয়ে গেছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারি ইকরাম হোসেন জানান, প্রভাষক খালেদ আহমদের দায়েরকৃত মামলাটি এফআইআর করার জন্য আদালত বড়লেখা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।