ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক মো. আল আমিন মাঝির বিরুদ্ধে ছাত্রীকে বিয়ে করে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবির অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী মনিরা ইয়াসমিন বাদী হয়ে রোববার দুপুরে ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর আদালতের বিচারক এএইচএম ইমরানুর রহমান আসামি আল আমিন মাঝির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন।
আল আমিন মাঝি নলছিটি উপজেলার রানাপাশা গ্রামের মো. তৈয়বুর রহমান মাঝির ছেলে। তিনি ৪ বছর আগে ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজে গণিতের প্রভাষক পদে যোগ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এইচএসসি পাস করার পর ওই ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন প্রভাষক আল আমিন। বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই ওই ছাত্রীকে ও তার পরিবারকে ৫ লাখ টাকা যৌতুকের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। গত ২৭ মার্চ ছাত্রীকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ছাত্রীর মা ও আত্মীয়স্বজন আল আমিনকে বাড়িতে এনে গত ৪ সেপ্টেম্বর যৌতুকের দাবি পরিহার করে ঘর-সংসার করার অনুরোধ জানান। কিন্তু পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক না দিলে বাবার বাড়ি থেকে আর তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন প্রভাষক আল আমিন মাঝি।
বাদীর আইনজীবী আক্কাস সিকদার জানান, আদালত যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।