বান্দরবানের রুমা উপজেলার এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিওচিত্র ধারণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার বান্দরবানের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ. এস. এম. এমরান আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে প্রধান শিক্ষক সমর কান্তি দত্তকে (৫৬) রুমা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সমর কান্তি দত্তর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ, ভিডিও চিত্রধারণ এবং তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগে রুমা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। তার বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায়। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও ছাত্রীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ ও কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়। তারপর সে প্রধান শিক্ষক সমর কান্তি দত্তের রুমার বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়তে শুরু করে। প্রাইভেট পড়ানোর সময় একদিন তাকে ধর্ষণ করেন প্রধান শিক্ষক এবং ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখেন। ভয়ে-লজ্জায় মেয়েটি ঘটনাটি কাউকে বলেননি। কিন্তু ঘটনার পর থেকে শিক্ষক বিভিন্ন সময় বিয়ের কথা বলে প্রলোভন দেখিয়ে এবং ভিডিওচিত্রগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ছাত্রীকে তার কাছে যেতে বলতেন। কিন্তু মেয়েটি তার কাছে আর যাচ্ছিল না। সমর কান্তি দত্ত গত বুধবার ধর্ষণের ভিডিওচিত্রটি মেয়েটির মুঠোফোনে পাঠান। তখন মেয়েটি ঘটনা তার বড় বোনকে খুলে বলে।
এ ঘটনায় ছাত্রীর বড় বোন শুক্রবার রাতে রুমা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিক্ষক সমর কান্তি দত্তকে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় শিক্ষক সমর কান্তি দত্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।