ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সভানেত্রী শেখ হাসিনা সংগঠনটিকে মানববন্ধনের মতো নিরীহ ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (১ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে বেরিয়ে আসার সময় গণভবনের গেটে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি অন্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের বিষয়ে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ওখানে কারও সঙ্গে মারামারি, পাল্টাপাল্টি; এসব বিষয় আলোচনায় এনেছেন। এটা আমাদের কোনও দরকার নেই। যদি কেউ সহিংসতা করে, আন্দোলনের নামে সহিংসতার উপাদান যুক্ত করে- তার প্রতিরোধ আমাদের করতে হবে। রাজনৈতিকভাবে তারা আসলে আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো। আর তারা যদি সহিংসতায় আসে, তাহলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে যা করণীয় সেটা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা নেবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যেকটা বিষয়ে আলোচনায় এসেছে। তার মধ্যে তারা পরামর্শ দিয়েছেন এবং অখন্ড মনোযোগে আমাদের সভানেত্রী শেখ হাসিনা উপদেষ্টাদের বক্তব্য শুনেছেন। ১৭ জনের মতো বক্তব্য দিয়েছেন। এই সভায় আগামী নির্বাচন, ডিসেম্বরে আমাদের সম্মেলন; সবকিছু নিয়েই তারা বলেছেন। এই উপদেষ্টারা বিভিন্ন উপ-কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। আগামী নির্বাচন এবং জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে তাদের মূল্যবান পরামর্শ নেওয়া হয়েছে এবং উপ-কমিটিগুলোর সভা, সেমিনার; এসবের মাধ্যমে দলের সাংগঠনিক শক্তিকে আরও জোরদার করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
দেশে একটা ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ কাজ করছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে অস্থিরতা আছে। তবে সেটার প্রভাব-প্রতিক্রিয়া অন্যান্য দেশেও পড়েছে, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আলোচনায় এ বিষয়টি খুব বেশি উচ্চারিত হয়েছে- ‘সতর্ক থাকতে হবে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হবে।’