নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টা মামলার বাদী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জয়নাল আবেদিন বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
তবে সাক্ষ্য শেষে আসামিদের কারাগারে নেওয়ার সময় গণমাধ্যমকর্মীরা ছবি তুলতে গেলে আসামিরা অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ ও আক্রমণাত্মক আচরণ করে। এ সময় এক আসামি গণমাধ্যমকর্মীদের দিকে স্যান্ডেল তুলে ছুড়ে মারা চেষ্টাও চালায়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, কারাগারে নেওয়ার পথে আসামিদের ছবি তোলায় তারা আক্রমণাত্মক আচরণ করছে। কালো গেঞ্জি পরিহিত এক আসামি পা থেকে স্যান্ডেল খুলে গণমাধ্যমকর্মীদের দিকে ছুড়ে মারার চেষ্টা করে।
এদিকে, শুনানিকালে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে বাদীপক্ষের আইনজীবী জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ লাবলু জানান, এ মামলার ১৩ আসামির মধ্যে ৯ জন আদালতে উপস্থিত ছিল। এছাড়া আরও চার আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৯ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরপর আদালত আগামী ২৩ আগস্ট এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী সঙ্গে দেখা করতে তার বাবার বাড়ি জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে আসেন। এ সময় স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু রাত ১০টায় তার বাহিনী নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ করে। এরপর ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালিয়ে ভিডিও ধারণ করে। এছাড়া ঘরে ও একাধিক স্থানে দেলোয়ার তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ৪ অক্টোবর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনায় দায়ের করা নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টা মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। গত ২৪ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।