কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষনার্থী মনোনয়নে লটারীতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। লটারীতে এক নামে একাধিক ঘুটি, আবার কিছু নামে ঘুটি না দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা পর্যায়ে ২০২১-২২ অর্থ বছরের (১৪-১৫তম) মহিলাদের আয় বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়নের লক্ষে দুটি ট্রেডে ৬ ইউনিয়নে ফ্যাশন ডিজাইন ও ক্রিস্টাল ট্রেডে যথাক্রমে ২৩৩জন ও ১৩৫জন মিলে মোট ৩৬৮জন মহিলা অনলাইনে আবেদন করে। নিয়মানুযায়ী এর মধ্য থেকে প্রতি ট্রেডে ৫০জন করে মোট ১’শ জন মহিলাকে ৩মাসের প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণের জন্য লটারির মাধ্যমে মনোনিত করা হবে। বিভিন্ন সময়ে মহিলা বিষয়ক দপ্তর তাদের পছন্দের প্রার্থীদের গোপনে মনোনয়ন দিয়ে নামে মাত্র লটারীর আয়োজন করে সুবিধাভোগী নির্বাচন করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে ১৪-১৫তম ব্যাচের জন্য লটারীর শুরুতেই থানাহাট ইউনিয়নের তালিকায় ক্রমিক নং ১৬,৪৩,৪৪,৪৮, ৪৯,৫০,৫২ নামের বিপরীতে ২টি করে ঘুটি পাওয়া যায়। এছাড়াও লটারীতে উঠা ৪৬,৪৭,৫১,৮১,৮৫ নং ক্রমিকের আরও ১টি করে ঘুটি বাক্সে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আবেদনের তালিকায় থাকা ৮জন মহিলার নামে কোন ঘুটি রাখা হয়নি। অনিয়মসমুহ লটারিস্থলে উপস্থিত থাকা অনেকে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি গোছর হলে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মাহবুবুর রহমান থানাহাট ইউনিয়নের লটারী বাতিল করে দেন।
এ বিষয়ে চিলমারী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছা. সোহেলী পারভীন জানান, আমি ফুলবাড়ী উপজেলার দায়িত্বে থাকায় মার্চ মাস এখানে অফিস করতে পারিনি। থানাহাট ইউনিয়নের লটারীতে কিছু ভুল হওয়ায় ইউএনও স্যার সেটি বাতিল করে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহাবুবুর রহমান বলেন, থানাহাট ইউনিয়নে অনিয়ম হওয়ায় লটারী বাতিল করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।