মানবপাচার, মানি লন্ডারিং এবং ভিসা জালিয়াতির দায়ে কুয়েতে আটক বহুল আলোচিত বাংলাদেশি সংসদ সদস্য কাজি শহিদ ইসলাম চালাকি করে ফেঁসে গেছেন। তার চালাকিতে বিস্মিত আদালত কারাবাসের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছেন। পাপুলকে আরও অন্তত দুই সপ্তাহ কেন্দ্রীয় কারাগারেই থাকতে হচ্ছে। যদিও তার আইনজীবির একান্ত আর্জি ছিল যে কোনো শর্তে তার অন্তত জামিন আদায়ের। কিন্তু সব গুড়ে বালি করে দিয়েছেন অভিযুক্ত পাপুল নিজেই। তিনি আচমকা কৌশল নিয়েছিলেন বেমালুম সব অস্বীকার করার।
গোটা প্রসিকিউশনকে অবাক করে পাপুল ১৮০ ডিগ্রি এঙ্গেল ঘুরে গিয়ে তদন্ত বা রিমান্ডকালে দেয়া তার বক্তব্য বা স্বীকারোক্তি পুরোটাই অস্বীকার করার চেষ্টা করেন। দাবি করেন, কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারও সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বা লেনদেনের কোনো সম্পর্কই ছিল না! কিন্তু না, আদালত তার বক্তব্য আমলে নেননি।
তাকে জামিন দেয়া দূরে থাক আরও অন্তত দুই সপ্তাহ কারাগারে বন্দি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আরবি দৈনিক আল কাবাসের ২০ শে জুলাইর রিপোর্ট মতে, কুয়েতের বহুল আলোচিত পাপুল কেসের মূল অভিযুক্ত বাংলাদেশি এমপি কাজি শহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার তিন সহযোগীকে তদন্তের স্বার্থে বন্দি রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। সহযোগী হলেন- পাপুলের কোম্পানীর বাঙ্গালী পরিচালক (তার সমুদয় অপকর্মের সহযোগী) কুয়েতের একজন সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং একজন শ্রম সংশ্লিষ্ট নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি। চারজনেরই জামিন নামঞ্জুর হয়েছে।