বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য কাজ করছে। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এটা না যে, এমনি হয়ে যাচ্ছে, তা না। তারা পরিকল্পনা করেছে যে বাংলাদেশকে তারা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করবে। একটা নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করবে। অন্যের ওপর নির্ভরশীল একটা রাষ্ট্রে পরিণত করবে। সেই কাজ তারা করছে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য তরিকুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, সরকার যে উন্নয়নের এত কথা বলে, উন্নয়ন-মেগা প্রজেক্ট, সবকিছুর মূলে হচ্ছে ঋণ নিয়ে বাংলাদেশকে ঋণগ্রস্ত করে ফেলা। বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে একটা হাঁটু ভেঙে দেওয়া জাতিতে পরিণত করা। সেজন্য আজকে চতুর্দিকে তাকিয়ে দেখেন, দুর্নীতি-চুরি ছাড়া আর কিছু নেই।
তিনি আরো বলেন, আজ আসার সময় পথে দেখলাম বাস চলছে না, মানুষ হাঁটছে, মোটরসাইকেল চলছে। কারণটা কি আপনারা সবাই জানেন। ডিজেল-কেরোসিন এলপিজির দাম হঠাৎ করে ১৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষ যাবে কোথায়? একদিকে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে হু হু করে অন্যদিকে এখন আবার জালানির দাম বাড়িয়ে দিল। ফলে কি হবে, জিনিসপত্রের দাম আরো দ্বিগুণ বাড়বে। সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে। তাদের তো এখন না খেয়ে অপুষ্টিতে ভুগে মৃত্যুবরণ করার অবস্থা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একটি উদারপন্থী গণতন্ত্রের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করছি। তরিকুল ইসলাম সমস্ত জীবন দিয়ে সেই কাজটি করে গেছেন। নির্যাতনের কারণে শেষের দিকে তরিকুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। বিশেষ করে এরশাদের নির্যাতনের কারণে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুখের কাছে তিনি পরাজিত হননি। শেষ পর্যন্ত তিনি লড়াই করেছেন কিভাবে বেঁচে থাকা যায়, কিভাবে জনগণের জন্য একটু কাজ করা যায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অনেকেই বলে আমরা বুড়ো হয়ে গেছি, সত্য কথা। আমাদের বয়স হয়ে গেছে। কিন্তু আরো একটি সত্য কথা আছে। বৃদ্ধের মস্তিষ্ক থেকে যুবকদের স্পন্দ দাও। সে শক্ত স্পন্দ আমরা দেখতে চাই। সেই দৃঢ়, সাহসী, নতুন, নবীন নেতৃত্ব আমরা দেখতে চাই। তাদেরকে পাশে নিয়ে, নেতৃত্ব দিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম প্রমুখ।