May 18, 2024, 9:30 pm
সর্বশেষ:
রামপালে ৬৩০ জন রোগী পেল বিনামূল্যে ছানি অপারেশনের সুযোগ  চাল বিতরণে অনিয়মের দায়ে ইউপি সদস্য বরখাস্ত মোরেলগঞ্জের পোলেরহাট বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ১৩ দোকান পুড়ে ছাই মৌলভীবাজারে নদী রক্ষার বাঁধ নির্মাণে দীর্ঘসূত্রতা ৬ তারিখে বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো: প্রধানমন্ত্রী বেনাপোলে দোয়াত কলম প্রতীকের নির্বাচনী গণসমাবেশ দেশজুড়ে আজ থেকে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যকর বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট সরকারের জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপ দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি হ্রাস করেছে : প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আড়াই বছর পর বিজয়ী হলেন পরাজিত প্রার্থী

চায়ের ভরা মৌসুমে আয় বেড়েছে শ্রমিকদেরও

  • Last update: Tuesday, September 5, 2023

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের চা বাগানগুলোতে চায়ের ভড়া মৌসুম চলছে। বাগানে বাগানে শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছে চা তুলতে। এ সময়ে বেশি চা পাতা তুলতে পারায় শ্রমিকদের আয়ও বেড়েছে।

মার্চের শেষে মূলত চা গাছে কুঁড়ি আসতে শুরু করে। জুলাই পর্যন্ত পাতা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। পাতা তোলা যায় নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত। যদিও সেপ্টেম্বর মাসের পর উৎপাদন আবার কমতে শুরু করে। চা বাগানে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয় জুলাই ও আগস্ট মাসে।

উপজেলার ভাড়াউড়া চা বাগানের শ্রমিক পাবর্তী গৌঢ় জানান, বাগানের প্রত্যেক শ্রমিকই বর্তমানে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি পাতা তুলছেন। সবার হাজরি (চায়ের ঝুড়ি) এখন দুইটা হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৬৫ থেকে ৭৫ কেজি পাতা তুলতে পারছেন তিনি।

বাগানের অপর শ্রমিক সাবিত্রী ভূঁইয়া জানান, বর্তমানে ৭০ কেজি পর্যন্ত চা পাতা তুলতে পারছেন তিনি। এক হাজরিতে ২৪ কেজি চা পাতা। এক হাজরি চা পাতা তুললে তাদের ১৭০ টাকা দেওয়া হয়। এর পর প্রত্যেক কেজিতে শ্রমিকরা আরও ৫ টাকা করে অতিরিক্ত পাবেন।

বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. ইসমাইল হোসেন বলেন, এই মৌসুমে চায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০২ মিলিয়ন কেজি। চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশে চলমান মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমন্বিতভাবে কাজ করছেন তারা। তিনি জানান, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আশাবাদী করে তুলছে সংশ্লিষ্টদের।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. রফিকুল হক জানান, এখন ভড়া মৌসুম চা উৎপাদনের। চলতি মাসে আশানুরূপ উৎপাদন হচ্ছে।

তিনি বলেন, জুলাই ও আগস্ট এ দুই মাসে বাগানগুলো থেকে কমপক্ষে ২৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হবে। এতে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০২ মিলিয়ন কেজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী চা সংশ্লিষ্ট সবাই।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ
© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC