জুলাই মাসের মধ্যেই কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা গত মার্চ মাসেই অনলাইন নিবন্ধনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারীর জন্য সেটি পিছিয়ে যায়। আমরা ইতিমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন পেয়ে গেছি। তাই আশা করছি, এ মাসের মধ্যেই কিছু অনলাইন নিউজপোর্টাল নিবন্ধন দেয়া হবে। আর কিছু বাতিল করা হবে। আর যেগুলোর ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থা নেগেটিভ রিপোর্ট দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রিজেন্ট চেয়ারম্যান সাহেদের পত্রিকার অনুমোদনের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পত্রিকার অনুমোদনের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার বাধ্যবাধকতা নেই। সেটি ডিসি অফিসের মাধ্যমে হয়। এর পর ডিক্লেয়ারেশন পায় ডিএফপি থেকে। ম্যাট্রিক পাস বা ম্যাট্রিক পাস নয় এমন অনেক পত্রিকার প্রকাশক আছেন এবং অতীতেও ছিল। তাই পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশনের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যবাধকতা নেই।
তিনি বলেন, সাহেদ পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন নিলেও সে পত্রিকা বের করেছেন কিনা সেটি ডিএফপি খতিয়ে দেখছে। সে ক্ষেত্রে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর যদি অনিয়ম না হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে একটি বিষয়ে অবশ্যই বিবেচনা নিতে হবে যে, একজন প্রতারকের হাতে পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন থাকবে কিনা। আমরা সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
অনলাইন নিবন্ধের যে রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এ ক্ষেত্রে সে রকম কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের পরিকল্পনা আছে পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশনের ক্ষেত্রে এখন যে পদ্ধতি বিদ্যমান আছে এটি আসলে নিয়ন্ত্রণ করা। তবে আমাদের উদ্দেশ্য নিয়ন্ত্রণ করা নয়। সেই ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ হবে যার-তার হাতে পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বা পত্রিকা যেন না চলে যায়। আবার কোনো প্রতারক তার প্রতারণাকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য পত্রিকা বের করতে না পারে। পাশাপাশি পত্রিকার প্রচার সংখ্যা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রেও যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়৷ সেখানেও একটি স্বচ্ছতা আনা ও সেটিকে যুগোপযোগী করার পরিকল্পনা আমাদের আছে।