এপ্রিলের পর মে মাসেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চলতি মাসের ১৯ দিনে (১ থেকে ১৯ মে) ১১২ কোটি ৯২ লাখ (১.১৩ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৫ কোটি ৯৪ লাখ ডলার।
এপ্রিল মাসে ১৬৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার এসেছিল, প্রতিদিন গড়ে এসেছিল ৫ কোটি ৬২ লাখ ডলার। তার আগের মাস মার্চে ২০২ কোটি ২৫ লাখ (২.০২ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। গড়ে প্রতিদিন এসেছিল ৬ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।
আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১০ মাস ১৯ দিনে (২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে গত ১৯ মে) সব মিলিয়ে ১ হাজার ৮৮৫ কোটি (১৮ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। রেমিট্যান্সে প্রতি ডলারের জন্য ১০৮ টাকা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এ হিসাবে টাকার অঙ্কে মে মাসের ১৯ দিনে ১২ হাজার ২০৪ কোটি টাকা দেশে পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী সোয়া কোটি প্রবাসী।
রোজার ঈদের আগের মাস মার্চে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। কিন্তু ঈদের মাস এপ্রিলে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমে যায়। রমজান মাস ও দুই ঈদের আগে পরিবারের বাড়তি খরচ, দান, সদকা, ফিতরা দেয়ার জন্য সাধারণত বেশি অর্থ দেশে পাঠান প্রবাসীরা। যে কারণে বরাবরই দুই ঈদের আগে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স বেড়ে যায়। তবে এবার রোজার ঈদের আগে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না বেড়ে উল্টো কমেছে, এপ্রিল মাসে ১৬৮ কোটি ৩৫ লাখ (১.৬৮ বিলিয়ন) ডলার দেশে আসে, যা ছিল মার্চ মাসের চেয়ে ১৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ কম। আর গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে কম ১৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
রেমিট্যান্সে প্রতি ডলারের জন্য এখন ১০৮ টাকা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। তবে কার্ব মার্কেটে ডলারের দর ১১১ থেকে ১১২ টাকা। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেয় সরকার। এর পরও অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রতি ডলারে ৩-৪ টাকার বেশি পাওয়া যায়। সে কারণেই হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠান অনেক প্রবাসী।