ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের টিলারচর গ্রাম হতে চর হরিরামপুরের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রাম পর্যন্ত এক হাজার মিটার জায়গা জুড়ে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে।
তিন দিনের নদী ভাঙনে পাঁচ একর ফসলি জমি পদ্মা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে, ঝুঁকিতে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পদ্মায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ ভাঙ্গন দেখা দেয় , তারা আরো বলে
শুরুতেই এই এলাকায় ভাঙন শুরু হলেও গত তিন দিনে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে।এলাকাবাসী আরো জানায় বুধবার সকাল ছয়টা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত এর তীব্রতা বেশি ছিল।
টিলারচর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক শেখ সালাম বলেন, তীব্র স্রোতের কারণে সকালে ভাঙন দেখা দেয় এবং এতে প্রায় এক একর ফসলি জমি নদী গর্বে বিলীন হয়। তিন দিনে মোট পাঁচ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া টিলারচর স্কুল থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে রয়েছে পদ্মা নদী। তিনি ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। ওই একই গ্রামের বাসিন্দা শেখ ফালু বলেন, তার দশ শতাংশ ধানি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তিনি স্থানটিতে স্থায়ী বাধের দাবি জানান। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী মোর্শেদ, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন মোল্লা,সদর ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ খান ভাঙন স্থল পরিদর্শন করেছেন।
এছাড়া ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা সরেজমিনে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে ভাঙন এলাকার দুটি স্থানে মোট ১৩ হাজার ১৩০ বস্তা বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ভাঙন স্থানে নদীর গভীরতা ও স্রোতের কারণে এ অবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের আশ্বাস দেন তিনি এছাড়া এই এক কিলোমিটার জায়গা জুড়ে স্থায়ী বাঁধের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।