চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার প্রথমদিনে ৭৬ যাত্রী নিয়ে এয়ার এরাবিয়ার জি-৯৫২২ ফ্লাইটটি শারজাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এ ফ্লাইটের যাত্রী ওয়াহিদ চৌধুরী জিহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ভিজিট ভিসা নিয়ে আমিরাতে প্রথম এসেছি। বিমানবন্দরের অবকাঠামো দেখে অনেক ভাল লাগলো। সাত ঘণ্টা আগেই চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পৌঁছাই। এরপর আরটিপিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা দিয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, ফ্লাইট ৮টায় ছাড়ার কথা থাকলেও উড্ডয়ন করেছে ৮টা ১৫ মিনিটে। শারজায় পৌঁছলাম আমিরাতের স্থানীয় সময় ১০টা ১৭ মিনিটে।
পরীক্ষামূলকভাবে গত ২৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে ২৫ জন যাত্রীকে শারজায় পাঠানো হয়েছিল। আবার ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বরেও পরীক্ষামূলকভাবে এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইট এসেছিল শারজায়।
গত সোমবার (৩ জানুয়ারি) বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাবে পুরোদমে এ কার্যক্রম শুরু হয় বলে জানান বিমানবন্দরে কর্মরত চট্টগ্রাম বন্দরের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জয়নাল আবেদিন শরীফ।
প্রথমদিনে শারজাহগামী এয়ার এরাবিয়া ফ্লাইটের ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে একজনের করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে। পরে তাকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
বিমান ছাড়ার ছয় ঘণ্টা আগে থেকে সেখানে স্থাপিত চারটি বেসরকারি আরটিপিসিআর ল্যাবে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। চারটি প্রতিষ্ঠান সমান ভাগে যাত্রীদের পরীক্ষা করে। পরবর্তীতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ঢাকার প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট ও ল্যাবএইড, কুমিল্লার মডার্ন হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড এবং চট্টগ্রামের শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি।
গত ২ জানুয়ারি রোববার শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহমেদুল কবীর।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিদেশযাত্রীদের করোনা পরীক্ষার জন্য চারটি বেসরকারি ল্যাবের অনুমোদন দেওয়া হয় গত বছরের ৫ ডিসেম্বর।