আন্তর্জাতিক নৌ বাণিজ্যে খুলতে যাচ্ছে নতুন দুয়ার। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্য রুটে শুরু হচ্ছে জাহাজ চলাচল। এর আগে ইউরোপ রুট চালুর সুফল পাচ্ছেন আমদানি-রফতানিকারকরা। সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনের এ সুযোগ, বিশ্বজুড়ে নতুন বাজার সৃষ্টি করবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
সোঙ্গাচিতা নামে জাহাজটির মাধ্যমে গত বছরের মে মাসে শুরু হয়েছিল দেশের সমুদ্র বাণিজ্যের ইতিহাসে সরাসরি ইউরোপ রুটে প্রথম যাত্রা।
এরপর সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হয় স্পেন এবং নেদারল্যান্ড রুটে। এবার চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে সরাসরি নৌবাণিজ্যের দুয়ার খুলছে। সব ঠিক থাকলে মধ্যপ্রাচ্যের জেবল আলী এবং আবুধাবি বন্দরে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হবে মে মাসে।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, জাহাজ চলাচল শুরু হলে সময় কমে যাবে, খরচ কমে যাবে। সবথেকে বড় সুবিধা ক্রেতারা স্বল্প সময়ে তাদের দোরগোড়ায় পণ্য পেয়ে যাবে।
মধ্যপ্রাচ্যে সবজি এবং মৎস্যজাতীয় পণ্য রফতানি হয় বাংলাদেশ থেকে। আমদানি হয় তৈরি পোশাক খাতের নানা এক্সেসরিজ। নতুন রুট তৈরি হলে মধ্যপ্রাচ্যেও তৈরি পোশাক রফতানির সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা।
বিজিএমইএর পরিচালক অঞ্জন শেখর দাস বলেন, আমরা চাই অল্টারনেটিভ পথ বের হোক। তাহলে সুযোগের সম্ভাবনা বাড়বে।
মধ্যপ্রাচ্যের জাহাজ আসা যাওয়ার পথে অন্যান্য ট্রানজিট পোর্ট হয়ে আমদানি বা রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগানোর পরামর্শ অনেকের।
শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ইন্ডিয়াতে আমাদের অনেক চাহিদা আছে। এই রুটটা আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। এটি ব্যবসাবান্ধব একটি রুট হবে।
আগে বিভিন্ন ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে পণ্য পৌঁছাতে সময় লাগতো ৪০ দিন। সরাসরি রুটটি চালু হলে তা কমে আসবে ১৪ দিনে।