
ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম-শারজাহ এবং চট্টগ্রাম-আবুধাবি রুটে সপ্তাহে ১৪টি ফ্লাইট চালাবে শারজাহভিত্তিক বিমান সংস্থা ‘এয়ার এরাবিয়া’। আগে এই দুই রুটে ১০টি ফ্লাইট দিয়ে যাত্রী পরিবহন করতো বিমান সংস্থাটি। তবে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়লেও কমেনি ভাড়ার পরিমাণ। এখনও এই রুটে ভাড়া আকাশচুম্বি।
চট্টগ্রাম-শারজাহ রুটে সপ্তাহে ১০টি ফ্লাইট চলবে। আর চট্টগ্রাম-আবুধাবি রুটে চলবে সপ্তাহে চারটি। এত ফ্লাইট বাড়ার পরও ভাড়া নাগালে আসেনি।
ফ্লাইট ভাড়া যাচাই করে দেখা গেছে, ১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম-দুবাই রুটে ‘ফ্লাই দুবাই’য়ের একমুখি ভাড়া ৮৭ হাজার টাকা। একইদিন চট্টগ্রাম-শারজাহ রুটে ‘এয়ার এরাবিয়া’র ভাড়া প্রায় ১ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান কালের কণ্ঠকে বলেন, এয়ার এরাবিয়া চট্টগ্রাম-শারজাহ রুটে আগে সাতটি ফ্লাইট চলত এখন সেটি বেড়ে ১০টি হয়েছে। আর চট্টগ্রাম-আবুধাবি রুটে একটি ফ্লাইট বেড়ে ৪টি হয়েছে। এরফলে আগের চেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহন করতে পারবে বিমান সংস্থাটি।
হজ এজেন্সি এসোসিয়েশন (হাব) চট্টগ্রাম সভাপতি শাহ আলম বলছেন, বিদেশি বিমান সংস্থাগুলো এর মাধ্যমে টাকা পাচার করছে কিনা খতিয়ে দেখা উচিত। কারণ এই রুটে অনেক বেশি মুনাফা বলেই ইতোমধ্যে ফ্লাইটও বাড়িয়েছে বিদেশি বিমান সংস্থাগুলো। কিন্তু ভাড়া না কমে উল্টো বেড়েছে।
বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিনটি বিমান সংস্থা সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। রাষ্ট্রীয় ‘বাংলাদেশ বিমান’ চট্টগ্রাম-দুবাই রুটে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট চালাচ্ছে বোয়িং ৭৭৭ বিমান দিয়ে। চট্টগ্রাম-দুবাই রুটে বিদেশি বিমান সংস্থা ‘ফ্লাই দুবাই’ সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ‘এয়ার এরাবিয়া’ চালাচ্ছে সপ্তাহে ১৪টি। সবমিলিয়ে তিনটি বিমান সংস্থা সরাসরি ২৪টি ফ্লাইট চালাচ্ছে এই দুই রুটে।
সূত্রঃ দৈনিক কালের কন্ঠ