ঘূর্ণিঝড় ‘শাহীনের’ তাণ্ডবে ইরান ও ওমানে নয়জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ইরানের ছয়জন এবং বাকি তিনজন ওমানের বলে সংশ্লিষ্ট দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো থেকে জানা গেছে।
রোববার (৩ অক্টোবর) আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে ওমানের সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, দেশটির উপকূলীয় এলাকায় এ ঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া ভারী বর্ষণের কারণে দেশটির একটি শিল্পাঞ্চলে পাহাড় ধসে দুই এশীয় শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
এদিকে ভারী বর্ষণে ওমানের অনেক এলাকা ডুবে গেছে। দেশটির উপসাগরীয় এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনা এড়াতে রাজধানীর পূর্বাঞ্চলে দুই হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মাস্কটে সব ধরনের বিমানের ফ্লাইটের উড্ডয়ন এবং অবতরণ স্থগিত করা হয়েছে।
দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ওমানে স্কুল বন্ধ করা হয়েছে এবং রোববার ও সোমবার দুইদিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড় শাহীনের কেন্দ্রটি রাজধানী মাস্কট থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে ছিল। এটি ১২০ কিলোমিটারের বেশি গতিবেগে আঘাত হেনেছে।
অন্যদিকে, ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তানের দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশের চাবাহার বন্দরে রোববার এ ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ছয়জন। সিটি ডেপুটি স্পিকার আলী নিকজাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা আইসিএএনএ এ খবর জানিয়েছে।
প্রাদেশিক গভর্নর হোসেন মোদারেস-খিয়াবানির বরাত দিয়ে ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ, রাস্তাঘাটসহ যোগাযোগব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চাবাহার বন্দরে আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটি উপকূল থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরে ছিল।
এদিকে ইউনাইটেড আরব আমিরাতের (ইউএই) জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় শাহীনের বিষয়ে দেশটিতে উচ্চ সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।