চট্টগ্রামে ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন জাহিদুল হাসান ওরফে ফাহিম। এতে আসামি করা হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী- এমপি, সিটি মেয়র, নেতাকর্মীসহ ৬০ জন ও অজ্ঞাতপরিচয় অন্তত ১৩০ ব্যক্তিকে।
মামলার ৩০ নম্বর আসামি শাহাদাত হোসেনের দাবি, মামলায় যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে, সে সময় তিনি দুবাই ছিলেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভুয়া অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।
জানা যায়, শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম হাটহাজারীর মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে। দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে তিনি জাপান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইপ্রবাসী। দেশ দুটিতে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শাহাদাত বলেন, ‘দীর্ঘদিন দেশের বাইরে রয়েছি। কোনো দলের সঙ্গেও সম্পৃক্ত নই। টাকা-পয়সার লোভে একটি চক্র হয়রানি করতে মামলায় আমার নাম দিয়েছে।
তার ট্রাভেল রেকর্ডে দেখা যায়, শাহাদাত হোসেন ১২ জুলাই দুবাই থেকে চট্টগ্রাম আসেন। পরে ২৫ জুলাই আবার দুবাই চলে যান। এর পর দুবাই ও জাপানে একাধিকবার যাতায়াত করেছেন। গত ৮ আগস্ট দুবাই থেকে দেশে এসে ১১ আগস্ট আবার ফিরে যান। শাহাদাত বলেন, ‘ভুয়া মামলার পর একাধিকবার পুলিশ আমার গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নিজেও দেশে ফিরতে ভয় পাচ্ছি।’
এদিকে গতকাল রোববার দুবাইয়ে বাংলাদেশ সমিতি শারজাহ অফিসে সংবাদ সম্মেলনে শাহাদাত হোসেন বলেন, আমার নাম যুক্ত করে মিথ্যা অভিযোগ অথবা মামলা করে একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে হয়রানি কেন করা হচ্ছে। সরকারের কাছে অনুরোধ করেন এমন মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বিদেশে থাকা প্রবাসীদের যেন হয়রানি না করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইন্জিনিয়র শহিদুল, করিমুল হক, মাজহারুল ইসলাম মাহাবুব, সালেহ আহম্মেদ, কামাল হোসেন, সাইফুল ইসলামসহ অনেকে।