গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার রামনগর গ্রামে বাথরুম থেকে বদনা ও বালতি চুরির অভিযোগে এনামুল হক (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে এনামুল হককে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এরআগে, শনিবার রাত ২টার দিকে সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে এনামুল হককে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটে। নিহত এনামুল হক রামনগর গ্রামের মৃত সাফি মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, শনিবার রাতে প্রতিবেশী দিনমজুর এনামুল মিয়ার বাড়িতে যায়। এসময় বাথরুম থেকে বদনা, বালতি ও উঠানে পড়ে থাকা গামলা চুরির সময় তাকে আটক করে বাড়ির লোকজন। পরে হৈচৈ শুনে প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম, খোকা মিয়া ও শহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন গিয়ে এনামুল হককে বেধড়ক মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই এনামুল হক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। রাতেই তাকে উদ্ধার করে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।
এদিকে, এনামুল হককে অন্যায়ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন স্ত্রী ফরিদা বেগম। তিনি জানান, আমার স্বামী মানুষের জমিতে কাজ করে সংসার চালাতো। তিনি চুরি করলে আইন অনুযায়ী তার বিচার হতো। কিন্তু তা না করে নুরুল, খোকা ও শহিদুলসহ অজ্ঞাত কয়েকজন তাকে বেদমভাবে মারধর করে। এতে মাথায়সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পাওয়ায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তিনি থানায় হত্যা মামলা করবেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে সাঘাটার বোনারপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এনায়েত শাহারিয়া জানান, খবর পেয়ে নিহত এনামুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীর ও মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারের তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।