বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, গণতন্ত্রের লড়াইয়ে বিএনপি অবশ্যই বিজয়ী হবে। দমন-পীড়ন করে কখনো গণবিরোধী সরকার টিকে থাকতে পারেনি, এ সরকারও পারবে না।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার এক শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ঐক্যবদ্ধভাবে আরো শক্তিশালী লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, জোর করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। যারা আন্দোলন করে তাদের মামলা দিয়ে কারাবন্দি করে রেখেছে। গায়েবি মামলা বন্ধ করে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, আগামী দিনের লড়াই ভোট ও ভাতের অধিকারের লড়াই।
বর্ষীয়ান বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, দেশে গণতন্ত্র নেই বলে সব শ্রেণি পেশার মানুষ নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। অতীতেও মানুষ তাদের অধিকার হারিয়েছে, আবার তা আন্দোলনের মাধ্যমে ফিরিয়ে এনেছে, শিগগিরই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে মানুষ এবারও তাদের অধিকার আদায় করবে।
এ সময় চলমান আন্দোলন দমনে সরকার বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর যে দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে তার নিন্দা জানান এই বিএনপি নেতা। খালেদা জিয়াসহ গ্রেফতার সব নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবিও জানান তিনি।
শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরির আন্দোলন করলে কারখানা বন্ধের ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। বলেন, শ্রমিকের মজুরি যা বাড়ে জিনিসপত্রের দামসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ে তার চেয়ে বেশি। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে দেশের আন্তর্জাতিক বাজার ধ্বংসের তৎপরতা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ ও শ্রমিকরা বিপদের মুখে পড়বে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, নির্বাচনে না গেলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জেলে নেয়ার ভয় দেখানো হয়েছিল গণঅধিকার পরিষদকে। নির্বাচনে নিতে সরকারবিরোধীদের ব্ল্যাকমেইল করে নির্বাচনের নাটক শুরু করেছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।