
মোহাম্মদ ইরফানুল ইসলাম: অবশেষে নিউজের একদিন পর ঝু্ঁকিপূর্ণ সেতু পরিদর্শন করে নতুন সেতু নির্মাণের আশ্বাস প্রদান করলেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান। বুধবার দুপুরে উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের একমাত্র চলাচলের পথ মিন্নাত আলি জিন্নাত আলি বশরত আলি নামের সড়কের ঝু্ঁকিপূর্ণ সেতু নিয়ে দৈনিক ইনফো বাংলায় মঙ্গলবার নিউজ প্রকাশিত হলে ইউএনও সরেজমিনে গিয়ে সেতুটি পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর সামনে নতুন সেতু নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা তথা সেতু নির্মাণে আশ্বাস প্রদান করেন। এসময় তিনি রাউজানের অংশ পড়ায় রাউজান উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র সাথেও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক আলাপ করেন। এসময় তিনি পুরো এলাকা ঘুরে এলাকার চিত্র দেখে ওয়ার্ডটি দীপের মত উল্লেখ করে বলেন, তাদের একমাত্র সেতুটি আসলেই ঝু্ঁকিপূর্ণ। সেতু ব্যতিত বাকি চারদিকে হালদা অবস্থিত। সেতুটি নির্মাণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে। যেহেতু এটা অনেকটা রাউজানের অংশে সেহেতু সেতু নির্মাণে প্রয়োজনে রাউজানের উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নেয়া হবে। এ ওয়ার্ডের জনগণের দাবি পুরণে সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এসময় উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. মোরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, যা যা প্রয়োজন সব নেয়া হয়েছে। অফিসে পৌঁছে উপজেলা প্রকৌশলীকে বিস্তারিত দেয়া হবে।
জানা গেছে, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রথমে বাঁশের পরবর্তীতে পাকা সেতু নির্মাণ করে তার উপর দিয়েই এলাকার শত শত শিক্ষার্থী-শিক্ষক, চাকুরীজীবী, ডিম সংগ্রহকারী, মৎস্য চাষি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ চলাফেরা করছেন। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে পরিণত হয়েছে একমাত্র চলার পথের ওই সেতু। বিভিন্ন সময়ে এলাকাবাসী বিশেষ করে স্থানীয় প্রবাসীদের সহযোগিতায় সংস্কার করলেও বর্তমানে আর্থিক টানাপোড়নে তা সম্ভব হয়ে উঠছেনা। এদিকে বর্ষা মৌসুম হওয়ায় হালদা নদীর পানির তীব্র স্রোতে নড়বড়ে অবস্থার চিত্র ফুটে উঠছে প্রতি মূহুর্তে। তাই আতঙ্কে দিন কাটছে স্থানীয়দের। তবে এলাকাবাসী ও প্রবাসীদের সমন্বয়ে সেতু নির্মাণ ও বারংবার সংস্কার হলেও পায়নি কখনো সরকারী সহযোগিতা। বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকার অন্তত অবহেলিত অনেকটা রাউজানের পেটে অবস্থান নেয়া হাটহাজারী উপজেলার ওই ওয়ার্ডটির জনগণের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব করবেন এ আশাই ব্যক্ত করেন স্থানীয়রা। এসময় স্থানীয়রা ইউএনও এবিএম মশিউজ্জামানকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।