খুলনা প্রতিনিধিঃ সুন্দরবন উপকূলের সংসদীয় আসন খুলনা -৬ আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে তিন প্রার্থীর প্রচার প্রচারণা জমজমাট।আ.লীগের প্রার্থী রশীদজ্জামান,বিএনএম প্রার্থী ব্যারিস্টার নেওয়াজ মোরশেদ ও স্বত্রন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলমের মধ্যে ভোটের লড়াই হবে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।
খুলনা -৬ আসনের ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়েছেন। এক্ষেত্রে প্রতিবারই নতুন প্রার্থী এখানে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন। ২০০৮ সালে এ্যাড.সোহরাব আলী সানা, ২০১৪ সালে এ্যাড. শেখ মোঃ নুরুল হক ও ২০১৮ সালে আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু নৌকা প্রতীকে খুলনা-৬ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক নেতা মো. রশীদুজ্জামান। তিনি এলাকায় লবণ পানির ঘেরবিরোধী আন্দোলনের নেতা হিসেবে পরিচিতি। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জামানত হারান।
সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে ভোটাররা আরো জানান,এবারের নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনে এবার আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জে ফেলেছেন প্রতিপক্ষ দুই শক্তিশালী প্রার্থী।এই আসনে নৌকার শক্ত প্রতিপক্ষ ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার জিএম মাহবুবুল আলম ও বিএনএম এর নোঙ্গর প্রতীকে ব্যারিস্টার নেওয়াজ মোরশেদ। জাতীয় পার্টি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু নির্বাচনী প্রচারণায় না থাকায় নৌকা, ঈগল ও নোঙর প্রতীকের মধ্যেই ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। তাই নিজেদের প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন কর্মী-সমর্থকরা। বিএনএম নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী নেওয়াজ মোরশেদ হাইকোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।এ ছাড়াও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে এলাকায় তার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। অপরদিক স্বতন্ত্র হিসেবে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার জি এম মাহবুবুল আলম প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় নতুন সমীকরণ চলছে। মাহবুবুল আলম প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় নির্বাচন জমে উঠেছে, এরই মধ্যে দুই উপজেলায় তার পক্ষে স্থানীয় আওয়ামীলীগের একটি অংশ মাঠে নেমেছেন। ফলে ভোটাররা মনে করছেন এ আসনে এবার ভোট যুদ্ধ হবে ত্রিমূখী। খুলনা-৬ আসনটিতে মো. রশীদুজ্জামান,ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম,ব্যারিস্টার নেওয়াজ মোরশেদ ছাড়াও প্রার্থী রয়েছেন জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু, এনপিপি মনোনীত প্রার্থী মো. আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মির্জা গোলাম আজম, জাকের পার্টি মনোনীত শেখ মর্তুজা আল মামুন ও তৃণমূল বিএনপির গাজী নাদির উদ্দিন।