কয়রা প্রতিনিধি: খুলনার কয়রায় জমি-জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪আগষ্ট) সকালে মহারাজপুর ইউনিয়নের কালনা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক গোলাম রব্বানী দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি ও কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়,
অদ্য সকালে ভুক্তভোগী সাংবাদিক তার নিজের জমিতে ধানের চারা রোপনের জন্য গেলে দেখেন, তার চাচা (ইয়াকুব গাজী) ও চাচাতো ভাই (মহররম ওরফে মিল্টন গাজী) জমি দখল করে ধান রোপন করেছে। এ বিষয়ে আপত্তি জানালে তারা সাংবাদিকের উপরে লাঠিসোটা ওদেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারতে তেড়ে আসে। তখন ভুক্তভোগীর হাক- ডাক শুনে স্থানীয় লোকজন এসে বাঁধা দেয়। প্রত্যক্ষদর্শী রেজাউল গাজী বলেন, দীর্ঘদিন ভুক্তভোগী সাংবাদিক তার চাচা ও চাচা তার ভাইয়ের ষড়যন্ত্রের শিকার।এখানে তার পৈতৃক বসত- ভিটা হলেও তাদেরকে এখানে বসবাস করতে দেয় না। ইতিপূর্বেও এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে ।স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সালিশে মীমাংসা হলেও এখন তা মানতে নারাজ।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক জানান, তিনি বিলান জমি ধান চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত করে জরুরি কাজে খুলনায় অবস্থান করেন। তখন একজন প্রতিবেশী তাকে মুঠোফোনে জায়গা দখল করে ধান রোপণের বিষয়টি জানান। তিনি মুঠোফোনে তাদেরকে ধান না রোপনের অনুরোধ করেন।আজ সকালে ধানের চারা রোপনের জন্য গিয়ে দেখেন নিষেধ অপেক্ষা করে তারা চারা রোপন করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে মারতে আসে। পরে স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে ফিরে গেলেও অভিযুক্ত মহরম ওরফে মিল্টন তাকে জবাই করে হত্যার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জীবন ও জান-মালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক গোলাম রব্বানী থানায় অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মহরম ওরফে মিল্টন বলেন,এই বিষয়ে আমি মুঠোফোনে কিছু বলতে চাই না। আমি এখন ব্যস্ত আছি,পরে কথা বলব।
এ ব্যাপারে কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন-“আমি ঘটনাটি শুনেছি ।ভুক্তভোগী সাংবাদিক লিখিত অভিযোগ করলে, তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”