সুনামগঞ্জ পৌরসভার অভ্যন্তরে প্রবাহিত কামারখাল নামের দীর্ঘ খালটি বেহাত হয়ে গেছে। গেল নব্বই দশকে খালটিতে নৌকা চলাচল করলেও বর্তমানে এসব কেবলই স্মৃতি। অবৈধভাবে কামারখাল দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা।
গড়ে তোলা হয়েছে মেয়রের মায়ের নামে মাদরাসা, আছে শ্যালকের আবাসিক ভবন। এমন নানা স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে সুনামগঞ্জের কামারখাল দখল করে। চলছে দখলের আরও তোড়জোড়। অস্তিত্ব সংকটে খালটি।
সুরমা নদীতে কামারখালের উৎস মুখেই স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টার। মেয়রের মায়ের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। খালের জায়গায় মেয়র শ্যালকের আবাসিক ভবন। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ তো দূরের কথা, সরু ড্রেন বানিয়ে পরিবর্তন করা হয়েছে খালের গতিপথ। পানি প্রবাহ ঝাওয়ার হাওরে নিয়ে গেছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষই। খালের জায়গায় পাকা সড়ক তো রয়েছেই কোথাও আবার ড্রেনের অংশকেই উপযোগী করা হয়েছে চলাচলের।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি সিলেট ২০০৫ সাল থেকেই খালটি উদ্ধারের দাবি জানিয়ে আসছে। বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ শাহেদা আক্তার বলছেন, দায়িত্বশীলদের দায়সারা মনোভাবের কারণেই, কামারখালের এমন দুরাবস্থা।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে পরস্পরের ওপর দায় চাপাচ্ছে পৌরসভা ও জেলা প্রশাসন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না পৌর কর্তৃপক্ষ।