বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কোনো শর্ত মেনে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে রাজি নন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া পরিবারকে জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো শর্ত সাপেক্ষে দেশের বাইরে তিনি যাবেন না। সরকার চাইলেই তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে। এজন্য সরকারের সদিচ্ছা দরকার।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। সরকার খালেদা জিয়াকে ইচ্ছা করে আটকে রেখেছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, লিভারের জটিল রোগের পাশাপাশি দুটি কিডনি দুর্বল হয়ে পড়েছে খালেদা জিয়ার। ১৫ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড দ্রুত তাকে বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার সুযোগ না দেওয়া অমানবিক ও সংবিধানের লঙ্ঘন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত অনেকেই বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। সারাবিশ্বে এমন অনেক দৃষ্টান্ত আছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের ক্ষেত্রে দণ্ড স্থগিতকরণের শর্ত প্রত্যাহার করে নিলে আর কোনো আইনি জটিলতা থাকবে না। আইনের কোনো ব্যত্যয়ও ঘটবে না। চিকিৎসা পাওয়া তার মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার।
যত দ্রুত সম্ভব খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান ফখরুল বলেন, তা না হলে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী থাকতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু খালেদা জিয়াকে এ অবস্থায় (অসুস্থ) রেখে নয়, হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো ধরনের নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতন হবে।’
সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে ফখরুল প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য তিনি কীভাবে দিতে পারেন? আমাদের বোধগম্য নয়।’