মিনহাজ দিপু, খুলনাঃ কয়রা-পাইকগাছার জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু কয়রা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মত বিনিময় করেছেন।
তিনি গতকাল রবিবার বিকাল ৪ টায় সুন্দবনের কাশিয়াবাদ ফরেষ্ট ষ্টেশনের হলরুমে এক অনাঢ়ম্বর অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের শারিরিক ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় সংসদ সদস্যের সাথে উপস্থিত ছিলেন, ৭১ এর মুক্তিযোদ্দাকালিন সাব সেক্টর কমান্ডার ও বিশিষ্ঠ গবেষক এ এস এম সামছুল আরেফিন, ঢাকার সাবেক সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ, রাজশাহীর সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আঃ ওয়াদুদ দারা, রাজশাহীর তানোর উপজেলার সাবেক মেয়র গোলাম রব্বানী, বিশিষ্ঠ সাহিত্যিক নাজমা আরেফিন। সাবেক উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম রব্বানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার লুৎফর রহমান, সরদার মাহবুবুর রহমান, জিএম শাহাবুদ্দিন, বট কৃষ্ণ ঢালী , গোলাম মোস্তফা, আফছার গাজী, জায়েদ আলী সরদার, কওছার আলম গাজী, নুরুল হুদা, টিএম আফসার আলী প্রমুখ। এছাড়া কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম, মহেশ^রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারি, আমাদী ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েলসহ একাধিক ইউপি সদস্যবৃন্দ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী, যুবলীগ, ছাত্রলীগ,কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও কয়রা প্রেস সাংবাদিক বৃন্দ।
এসময় সংসদ সদস্য বলেছেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের শেষ আশ্রয়স্থল। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ানো, তাদের জন্য বীর নিবাস তৈরি করে দেওয়া, অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়া, সরকারি যানবাহনে বিনা পয়সায় যাতায়াতের সুযোগ করে দেয়া, হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ সুযোগ দেশে আর কেউ করে দেননি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে অসাম্প্রদায়িকতা থাকবে ততদিন মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধারা চিরভাস্কর হয়ে থাকবেন। পরাধীনতার শৃঙ্খলা ভেঙ্গে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের পতাকা উড্ডীন করার যে গৌরব দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের, এই গৌরবের অংশীদার আর কারো হওয়ার সুযোগ নেই। যেকোন বিপন্ন মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য আমি সহায়তা করব। বিপদে একজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের পাশে দাড়াতে পারলে আমি গর্বিত হব। এ সুযোগ আপনারা আমাকে দেবেন আমি আপনাদের পাশে আছি।