মোঃ রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ক্ষুরারোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে শতাধিক গরু। এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে আরো হাজার দশেক। ক্ষুরারোগের ভ্যাকসিন দেয়ার পরও আক্রান্ত হচ্ছে গরু। মড়কের ঘটনায় খামারিসহ গরু পালনকারীরা গভীর শঙ্কায় রয়েছে।
এবিষয়ে ঝিকরগাছা উপজেলার বল্লা গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান, ক্ষুরারোগে তার তিনটি গরু মারা গেছে। স্থানীয় পশু চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েও কোন কাজ হয়নি। একই গ্রামের সফিউদ্দীন, মোমরেজ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও নওয়ালী গ্রামের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানের একটি গরু মারা গেছে। নারাঙ্গালী গ্রামের ফারুক হোসেনের দুইটি, বিল্লাল হোসেন ও কাজী আফজাল হোসেনের একটি গরু এই রোগে মারা গেছে। এছাড়া উপজেলার প্রায় গ্রামে সব খামারির গরু ক্ষুরারোগে আক্রান্ত হয়েছে।
ঝিকরগাছার বল্লা গ্রামের খামারি ইমামুল হোসেন জানান, গত জানুয়ারি মাসে তার খামারের গরুর ক্ষুরারোগের ভ্যাকসিন দেয়া হয়। তারপরও খামারের সব গরু আক্রান্ত হয়েছে । একই কথা জানিয়েছেন, নারাঙ্গালী গ্রামের আবু হেনা। মাস চারেক আগে তার গরুর ক্ষুরারোগের ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছিল। এতেও কাজ হয়নি, তার ছয়টি গরুই এ রোগে আক্রান্ত হয়। তিনি আরো বলেন, ক্ষুরারোগে আক্রান্ত হওয়া গরু বিক্রি হয় না। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের।
ঝিকরগাছা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তপনেশ্বর রায় বলেন, এটা ভাইরাসজনিত রোগ। সাধারণত ভাইরাসের নিদিষ্ট কোন চিকিৎসা হয় না। এটা ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন হওয়ার পর চিকিৎসা দেয়া হয়। তিনি উপজেলায় কত গরু আক্রান্ত ও মারা গেছে তার পরিসংখ্যান দিতে পারছে না। তবে ক্ষুরারোগে আক্রান্ত গরুর খামারিদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ জানিয়ে দেয়া হচ্ছে।