বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অশালীন ও অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা যারা রাজনীতি করি, রাজনীতি নিয়ে ভাবি, রাজনৈতিক চিন্তা করি- আমরা কল্পনাও করতে পারি না একজন প্রধানমন্ত্রী এভাবে একজন বিরোধীদলের নেত্রীকে হুমকি দিতে পারেন।
তিনি বলেন, দিনের ভোট রাতে লুট করে অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রেখে দেশকে চরম নৈরাজ্যে নিমজ্জিত করেছে। ক্ষমতার অহংকারে তারা এতটাই নিচে নেমেছে যে প্রধানমন্ত্রীও অহরহ বেফাঁস কথা বলছেন। সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনুস সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেছেন। ন্যূনতম শিষ্টাচারবোধও নেই।
বৃহস্পতিবার, মে ১৯, ২০২২, দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘প্রধানমন্ত্রী ভয়ংকর মানসিকতার মানুষ’ উল্লেখ করে মির্জা আলমগীর বলেন, উনি যেভাবেই প্রধানমন্ত্রিত্বে আসুক না কেন, একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে কীভাবে তিনি এমন বক্তব্য দিতে পারেন। পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কূটনৈতিক ব্যক্তি, যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ড. ইউনুস, তাকেও প্রধানমন্ত্রী পদ্মায় দুই বার চুবানোর কথা বলেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের লুটপাটের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। দেশের অর্থপাচারকারী পিকে হালদারদের পৃষ্ঠপোষক এই সরকার।
সৈয়দপুর শহরের শহীদ ডা: জিকরুল হক রোডস্থ দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই কর্মিসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশলী ইশরাক হেসেন, রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক। সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহীন আখতার শাহীন। সঞ্চালনায় ছিলেন সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রভাষক শওকত হায়াত শাহ।
কর্মিসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, রংপুর বিভাগীয় আহ্বায়ক সামসুজ্জামান শামু, রংপুর জেলা আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাবু, সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম ওবায়দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল হক জিয়া, সৈয়দপুর পৌর আহ্বায়ক শেখ বাবলু, সদস্য সচিব এরশাদ হোসেন পাপ্পু, কিশোরগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম, নীলফামারী সদর উপজেলা সদস্য সচিব কাজী জুয়েল, সৈয়দপুর ওলামাদল যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সাইদুল ইসলাম, ছাত্রদল সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাবু, মহিলা দল সভাপতি রওনক আফজাল রিনু ও কৃষকদল সদস্য সচিব সাদিদুজ্জামান সরকার দিনার।
সভায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বিপুর পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন বিএনপি মহাসচিব।