ক্রিকেট খেলার কথা বলে ডেকে নিয়ে শরীয়তপুরে জাজিরা উপজেলায় অপহরণের তিনদিন পর এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের নাম সাকিল মাদবর (১৫)।
শনিবার সকালে উপজেলার নাউডোবা ইউনিয়নের হাজী কালাই মোড়ল কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. সাকিল মাদবর হাজী কালাই মোড়ল কান্দি গ্রামের ছালাম মাদবরের ছেলে। সে পূর্ব নাউডোবা এম ভিশন কিন্ডারগার্টেন এন্ড হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
এদিকে এ ঘটনা জড়িত থাকার অভিযোগে জাজিরা থানার পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে।
নিহতের চাচা নাউডোবা এলাকার সাবেক মেম্বার সালাম মোড়ল জানান, গত ২৫ জুন সাকিল মাদবরকে ক্রিকেট খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় একই উপজেলা একই গ্রামের সাকির ওরফে বাবু ও ইমরান।
এরপর সে আর রাতে বাড়ি ফেরেনি। পরদিন তার পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে তাকে পায়নি। পরে জাজিরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
২৬ জুন বিকালে সাকির ওরফে বাবুর মোবাইল ফোন থেকে এসএমএসের মাধ্যমে মুক্তিপন দাবি করা হয়। তবে মুক্তিপণে টাকার অংক বলা হয়নি।
বিষয়টি জাজিরা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে জাজিরা থানা পুলিশ মাঠে নামে। ওই দিনেই এলাকা থেকে সাকির ওরফে বাবুকে আটক করে।
বাবুর দেয়া তথ্য অনুযায়ী অপহরণের ৩ দিন পর শনিবার সকালে পদ্মাসেতুর রেলওয়ে প্রকল্পের নিকট থেকে বালি চাপা দেয়া অবস্থায় স্কুলছাত্র সাকিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ছাত্রের গলায়, নাকে হাতের কনুইতে জখমের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে তার মরদেহ পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনা জড়িত থাকার অভিযোগে জাজিরা থানার পুলিশ একই এলাকার ইমরান (২৫) ও সাকির ওরফে বাবুকে (২০) গ্রেফতার করেছে।
শিক্ষক শাহাজুল ইসলাম বলেন, সাকিল মাদবর খুব মেধাবী ছাত্র ছিল। ক্রিকেট খেলার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায় বাবু। তার পর ওকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আমরা এটা মেনে নিতে পারছি না। আমরা হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
নিহত স্কুলছাত্রের মা নুরজাহান বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার নির্দোষ ছেলেকে যারা অন্যায়ভাবে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
জাজিরা থানার (ওসি তদন্ত) আবদুল মজিদ বকুল বলেন, প্রথমে মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে সাকির ওরফে বাবুকে আটক করি। তার দেয়া তথ্য মতে স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করি। মরদেহের গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আটককৃতরা প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
উৎসঃ যুগান্তর