কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামে ভূরুঙ্গামারীতে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে যায়। এতে পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয় শত শত হেক্টর জমির বিভিন্ন জাতের সবজি। বন্যা পরবর্তী এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের সবজির দোকান গুলোতে। ফলে দিন দিন বেড়েই চলেছে সবজির দাম। সবজি কিনতে হিম শিম খাচ্ছে করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া খেটে খাওয়া দিন মজুর ,নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ গুলো। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরণের সবজি কেজি প্রতি বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। আর কাঁচা মরিচের দাম আকাশ ছোঁয়া। সরবরাহ কম থাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে সবজির দাম বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। অপর দিকে বিভিন্ন অযুহাতে দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা এমন অভিযোগ ক্রেতাদের।
শনিবার (১১ জুলাই) সরেজমিনে উপজেলার সবচাইতে বড় বাজার ভূরুঙ্গামারী হাটে গিয়ে দেখা গেছে কাঁচা মরিচ (দেশি ছোট গোলটা) বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, অন্যান্য জাতের কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি।
প্রতি কেজি পটল ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা বরবটি প্রতি কেজি ৫০ টাকা, সশা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, কচুঁ প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর লতি ও ফুল প্রতি আটি ১৫ টাকা, শাক প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া এক ফালি ২০- ২৫ টাকা , লাউ প্রতি পিচ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও আদা,রসুন,পেঁয়াজ সহ অন্যান্য জিনিসের দাম অপরিবর্তীত রয়েছে। বাজার করতে আসা কয়েক জন ক্রেতার সাথে কথা বললে তারা জানায় এমনিতেই করোনা কাল আয় রোজগার কম তার মধ্যে প্রতিটি পণ্যের সরবরাহ কমের অজুহাতে দোকানদাররা প্রতিটি জিনিসের দাম বারিয়ে দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, বছরের শুরুতেই আগাম বন্যায় বিভিন্ন জাতের সবজি ২শত ৫৫হেক্টর, পাট ১শত ১২ হেক্টর, বীজতলা ১০৪ হেক্টর ও মরিচ ৪৫ হেক্টর সহ মোট প্রায় ৬০০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, কৃষি বিভাগের তথ্য মতে আবাদকৃত ফসলের প্রায় ১২.৫০% বন্যার পানিতে নষ্ট হয়েছে। বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় হয়তো সবজির দাম বেড়েছে।