
মোঃ কামরুজামান , কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ বৃহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চলের বিপুল জনগণের চলাচল ও বানিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়ক। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোড়াদহ কাপড়ের হাঁট ও অন্যতম চাউল উৎপাদন কেন্দ্র খাঁজানগরে আগমন ও বহিঃগমনের একমাত্র সড়ক এটি।এছাড়াও কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের বিপুল জনসংখ্যার জরুরি প্রয়োজনে সড়কটি অতীব ব্যবহৃত হয়।অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির এখন বেহাল দশা!বিগত ৩ মাসে সড়কের মাঝে অন্তত ১০ টির অধিক গাড়ি পুঁতে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের প্রবেশমুখ (কুষ্টিয়া থেকে) বটতৈল মোড়েই গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও কবুরহাট, শান্তি মোড়, বল্লভপুর,আইলচারা,বাগডাঙ্গা,স্টিল ব্রিজ, নলকোলা,বালুরচর, হালসা ওয়াপদা ও পাটিকাবাড়ীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় অর্ধশত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।যা প্রায় এক থেকে দুই ফুট পর্যন্ত গভীর।সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই এই গর্তগুলো একপ্রকার মরণফাঁদে পরিণত হয়!
চালক উপায়ন্তর না পেয়ে তাঁর সন্তানতুল্য গাড়ীটিকে চোখ বন্ধ করে গভীর গর্তের ঘোলাজলে নামিয়ে দিতে বাধ্য হয়।এমতাবস্থায় চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে মানুষ ও পণ্যবাহী যানবাহনগুলো।গতকাল শুক্রবার (২২ অক্টোবর) আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে নলকোলা মোড়ের অদূরে একটি পণ্য বোঝাই ট্রাক পুঁতে প্রায় ৪ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। যা প্রায় দেড় ঘন্টা স্থায়ী হয়।ওই এলাকার কিছু মহানুভব মানুষ সড়কের পার্শ্ববর্তী একটি ইটভাটা থেকে ইট কিনে গর্ত(যে পাশে ট্রাক পোঁতা তার বিপরীতে) ভরাট করে আপাতত গাড়ি চলাচলের উপযোগী করে দিলে যানজট ক্রমেই কমতে থাকে এবং এক পর্যায়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।এছাড়াও কয়েকদিন আগে ওই একই স্থানে আরেকটি ট্রাক পুঁতে প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যা প্রায় ৩ ঘন্টা স্থায়ী হয় বলে জানা যায়। এছাড়াও পাটিকাবাড়ীসহ কয়েকটি স্থানে গাড়ি উল্টানোর ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
স্থানীয় ও উপস্থিত ব্যক্তিরা বলেন,কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কটি সড়ক ও জনপথ( স ও জ) বিভাগের সতীনের সন্তান। কোনদিন নেক নজরে পড়ে না!দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও কেউ মেরামত করে না।তাছাড়া এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি কোনদিন ভালো থাকে না।সড়কটির দুর্ভাগ্য নির্মানের সময়ও আদর্শমান বজায় রাখা হয় না।নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কোনরকম দায় সারা কাজ করে চলে যায়। যার ফলে নির্মাণের ২/৩ মাসের মধ্যেই সড়কটি আবার ভেঙে যায়।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির মধ্যে বিটুমিনের কাজ করা যায় না। তাই আপাতত খোয়া, বালি দিয়ে জরুরি কাজগুলো করা হচ্ছে।তাছাড়া বরাদ্দ হয়েছে।খুব শীঘ্রই বিটুমিন দিয়ে সড়ক মেরামত করা হবে।তিনি আরও বলেন,পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধ হয়ে সড়ক দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। যারা কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে সড়ক নষ্ট করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।