নোয়াখালীতে গত ১৪ জুলাই বিএনপির পদযাত্রায় যাওয়ার প্রাক্কালে কুমিল্লার লাকসামে মুরাদনগর বিএনপির গাড়ি বহরে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আহত নেতাকর্মীরা কুমিল্লার আকন্দ হসপিটালে গত এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শনিবার (২২ জুলাই) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন আকন্দ হসপিটাল থেকে বিএনপির আহত নেতাকর্মীদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন মুরাদনগর বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আহত নেতাকর্মীরা বলেন, আমরা গত ১৪ জুলাই নোয়াখালী বিএনপির পদযাত্রায় যাওয়ার সময় লাকসামে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরা বাঁচার জন্য আজকে এক সপ্তাহ ধরে এখানে চিকিৎসা নিচ্ছি। কেউ শুধু শুধু হসপিটালে শুয়ে থাকে না। আমরা সুস্থ হলে নিজেরাই চলে যাব। আমরা এখনো অসুস্থ অথচ আজকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন এসে আমাদেরকে হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়েছে। আমরা কি ঠিকমতো চিকিৎসাও নিতে পারব না? এটা তো আমার নাগরিক অধিকার। তারা আমার নাগরিক অধিকারে বাধা দেবে কেন?
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন ভূইয়া বলেন, আমার নেতাকর্মীদেরকে গত ১৪ জুলাই নোয়াখালী যাওয়ার পথে লাকসামে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে, কুপিয়ে জখম করে। আমাদের নেতা কায়কোবাদ সাহেবের নির্দেশে কুমিল্লা আকন্দ হাসপাতাল তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে। একজন রোগীও সুস্থ হয়নি অথচ আজ প্রশাসনের লোকজন নাকি তাদেরকে ভয় দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়েছে। তারা কীভাবে সাধারণ মানুষের নাগরিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করে, আমার বুঝে আসে না। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
কুমিল্লা আকন্দ হাসপাতালের চেয়ারম্যান কাজী তাহমিনা আক্তার বলেন, তারা এক সপ্তাহ ধরে আমার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আজকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন এসে বলে ইমার্জেন্সি রোগীগুলো রেখে বাকি সবাইকে রিলিজ করে দিতে। তাই আমি তিনজন অপারেশনের রোগী রেখে বাকি সবাইকে রিলিজ দিয়ে দেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, এটা মিথ্যা কথা। এটা তারা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। আমার পুলিশের আর কোনো কাজ নাই। হসপিটালে তাদের কি কাজ? আপনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করেন।
সূত্র: এনটিভি