রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণায় আমরা সকলেই জানি যে, বেশি করে গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান, এছাড়াও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী সংশ্লিষ্ট মহল থেকে একই ঘোষণা প্রকাশ করেন। কিন্তু কুড়িগ্রামের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের কাইম বড়াই বাড়ির চর এলাকার তিনগ্রাম যৌথ সমিতি নামক একটি সংগঠন রয়েছে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট। উক্ত গঠনটি রাষ্ট্রীয় কোন আইন তারা মানছেনা। কেননা কাইম বড়াইবাড়ি চর এলাকায় পল্লী সড়কের দুই ধারের জীবিত গাছ নিজের ইচ্ছা মত ওই সমিতির সদস্যরা বিভিন্ন অজুহাতে প্রতিনিয়ত কর্তন করছেন। এলাকার সচেতন মহল বাধা দিতে গেলে সমিতির লোকজনের হুমকি ও হুংকারের ভয়ে এলাকার নিরীহ মানুষজন নিস্তব্ধ হয়ে আছে। তবে ওই সমিতির গাছ কর্তনের বিষয়টি অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অবগত আছেন কিন্তু তার কোন প্রতিবাদী ভূমিকা নেই বলে এলাকাবাসীরা গণমাধ্যমকর্মীদের জানান।
সরেজমিনে গিয়ে তিনগ্রাম যৌথ সমিতির সভাপতি আজিজার ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুলসহ একাধিক সদস্যদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, আমরা গাছ কর্তন করেছি সত্য, তবে তা আমাদের এলাকার লিল্লা বোডিং মাদ্রাসায় দান করেছি। তবে এলাকাবাসীর কথা হলো লিল্লা বোর্ডিং মাদ্রাসায় দান করেছে সত্য, কিন্তু শতাধিক গাছ দান করেনি, দান করেছে মাত্র দুটি গাছ। বাকি গাছ গুলো বিক্রি করে ওই সমিতির সদস্যগণেরা ভুরিভোজ ও পকেট তাজা করছেন।
এ ব্যাপারে তিনগ্রাম যৌথ সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের এখানে গাছ কর্তনের বিষয় নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীর পরিচয় দিয়ে একজন এসেছিলেন তার নাম শামীম। তিনি বলেছেন আপনারা গাছ কর্তন করেন, কিন্তু আমাকে চা চক্রের ব্যবস্থা করেন তাহলে বন বিভাগ সহ বাকি সকল দপ্তরের বিষয় গুলো আমি ম্যানেজ করবো। গাছ কর্তন না করার এ রকম অনেক ঘোষনাই হয়, এটা কোন বিষয় না।
উল্লেখ্য, এলাকাবাসীর প্রশ্ন হলো যারা স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ঘোষণা মানে না, একাত্তরে তাদের পারিবারিক ভূমিকা কি ছিল? খতিয়ে দেখা উচিত। সরকারি গাছ কর্তন অপরাধের আইনের আওতায় নিয়ে আসলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। কোন সাহসে কার মদতে তারা একের পর এক আমাদের এলাকার সরকারি গাছ কর্তন করে ছাফার করছে। আমরা এলাকাবাসী এর সঠিক সু-বিচার চাই।