কুড়িগ্রামের উপজেলা সদর যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ছলে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আব্দুল গফুরের ছেলে ফরিদুলকে (২৫) ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ০৮:৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়ন থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে ফরিদুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফরিদুল যাত্রাপুর বাজারে ফার্মেসি ব্যবসা করেন। তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আইয়ুব আলী।
ডিবি পুলিশ জানায়, ফরিদুল তার মোটরসাইকেলে বিশেষ কায়দায় ইয়াবা পরিবহন করেছিলেন। ডিবি পুলিশের একটি টিম তার গতিরোধ করে তল্লাশি চালান। পরে ৮০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়।
শুলকুর বাজার এলাকার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, গ্রেফতারের সময় ফরিদুলের সঙ্গে আরও এক জন যুবক ছিলেন। কিন্তু ডিবি পুলিশ দেখে দৌড়ে পালিয়ে যান ওই যুবক।
যাত্রাপুরের বেশ কিছু বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শুধু ফরিদুল নন, চেয়ারম্যান গফুরের অন্য ছেলেরাও মাদক ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গে জড়িত। যাত্রাপুর হাটে কিছু ভারতীয় পণ্য ও মদের চালান তাদের ছত্রছায়ায় বেচাকেনা হয়। চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মাদক ব্যবসার মূলহোতা।
তবে ছেলেদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। কোনও একটি পক্ষ ফাঁসিয়েছে। ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগও মিথ্যা।’
ডিবির ওসি আইয়ুব আলী বলেন, ফরিদুলের কাছে ৮০০ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।