মধ্য এশিয়ার কিরঘিজস্তানে ভোটে কারচুপির অভিযোগে সাধারণ জনতার বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর দেশটির সংসদ ভবন দখল নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে পার্লামেন্টের সামনে পুলিশ মোতায়েন ছিল। তবে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। পরে প্রতিবাদকারীরা ঢুকে পড়েন পার্লামেন্ট ভবনে। প্রেসিডেন্টের অফিসও জনতার দখলে।
রেডিও ফ্রি ইউরোপ বেশ কয়েকটি ছবি টুইট করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রাজধানী বিশকেকে প্রেসিডেন্টের অফিসে ঢুকে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা সেখানে প্রেসিডেন্টের অফিসে বসে ছবিও তুলেছেন।
বিক্ষোভকারীরা ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির বাড়িতে একটি কারাগার থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট অ্যালমাজবেক অ্যাটামবেয়িভকেও মুক্ত করে দিয়েছেন। কোনো রক্তপাত বা সংঘর্ষ ছাড়াই তারা সাবেক প্রেসিডেন্টকে মুক্ত করেছেন। বর্তমান প্রেসিডেন্টের পক্ষে না থাকায় তাকে বন্দি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
রোববার কিরঘিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে সোমবার সন্ধ্যা থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ হয়।
বিশকেক-এর সেন্ট্রাল স্কোয়ারে প্রথমে চার হাজারের মতো বিক্ষোভকারী জমা হয়েছিলেন। পুলিশ জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। প্রাথমিকভাবে সরে গেলেও পরে বিক্ষুব্ধ জনতার সামনে পুলিশ আর দাঁড়াতে পারেনি।
বিরোধী দলগুলো ইতিমধ্যেই নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। বিরোধী নেতারা অভিযোগ করেছেন, ভোটের দিন ভোটদাতাদের ভয় দেখানো হয়েছে, তাদের ঘুষ দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে আবার ভোটের আয়োজন করতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।