গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত ‘র্যাপিড ডট ব্লট’ সরকারের অনুমতি পাবে, তবে এক্ষেত্রে এজেন্সিগুলো সময় নষ্ট করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বুধবার কিট সম্পর্কিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি বলেন, বিএসএমএমইউ পরীক্ষায় পাসের পর অবশ্যই এই কিট সরকারের অনুমতি পাবে। তারা ‘র্যাপিড ডট ব্লট’ কিটের কোনো বিকল্প বিবেচনা করছে না।
তিনি বলেন, আমি শতভাগ নিশ্চিত যে বিএসএমএমইউতে ট্রায়ালটি পাস করবে, কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার জন্য এখন আক্রান্তদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশবাসীর জন্য যে কিটগুলোর প্রয়োজনীয় উৎপাদন বিলম্বিত হয়েছে।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন এই সঙ্কটের মুহূর্তে যদি সরকারি সংস্থাগুলো এগিয়ে আসে তবে ড. বিজন কুমার সিলের আবিষ্কার থেকে আরও বেশি লোক উপকৃত হবেন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এটি অনেক সময় নিচ্ছে। তিনি আরও সন্দেহ করে বলেন যে, সরকারের বিলম্ব স্বীকৃতির কারণে অন্য বিজ্ঞানী উদ্ভাবক হিসেবে বিজনের কৃতিত্ব নিয়ে নিতে পারেন। তিনি এ সময় কিটের পর্যাপ্ত উৎপাদনের জন্য ধার হিসেবে সরকারের কাছে ৫০ কোটি টাকা দাবি করেন।
সভায় বিজন শিল বলেন, তিনি এই কিটটি অ্যান্টিবডি এবং অ্যান্টিজেন উভয় পরীক্ষার জন্য লালা এবং এমনকি সোয়াব নমুনার পরীক্ষা করার জন্য তৈরি করেছেন। এ সময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, সরকারি অনুমতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা ব্যাপক উৎপাদনে যাবে। যাতে সরকার প্রতিদিন ৫০ হাজার সন্দেহভাজনকে পরীক্ষার আওতায় আনতে পারে।
এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউর প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ও অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য একে আজাদ চৌধুরী ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোজাহেরুল হক প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কভিড-১৯ এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে ২০০টি এবং পরবর্তীতে আরও ২০০টি মোট ৪০০ কিট হস্তান্তর করে।