মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মুফতি কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কারামুক্ত হন তিনি।
কাজী ইব্রাহিমের আইনজীবী শওকত উল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) তার আইনজীবী মোহাম্মদপুর ও শেরেবাংলা নগর থানার পৃথক দুই মামলায় পিডাব্লিউ প্রত্যাহারের আবেদন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। শুনানি শেষে শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম ও মোহাম্মদপুর থানার মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ সিদ্দিকী আবেদন মঞ্জুর করেন। এ দুই মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন। কারাগারে আটক থাকায় এ মামলায় পিডাব্লিউ ছিল।
এর আগে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম জুলফিকারের আদালতে দোষ স্বীকার করেন তিনি। এর ফলে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কাজী ইব্রাহিমের কারাভোগকেই সাজা হিসেবে প্রদান করেন আদালত।
উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার মামলায় ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। সে হিসেবে গ্রেপ্তারের পর থেকে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তার এক বছর তিন মাস ১৯ দিনের কারাবাস হয়, যা সাজা হিসেবে প্রদান করেন আদালত।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, কাজী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫-৩১-৩৫ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ ধারাগুলোর সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছরের কারাদণ্ড। কিন্তু তিনি দোষ স্বীকার করায় বিচারক সন্তুষ্ট হয়ে তার কারাভোগটাই সাজা হিসেবে দিয়েছেন।
কাজী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মামলাটি করেছিলেন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মুন্সি আব্দুল লোকমান। এ মামলায় তাকে দুদিনের রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছিল।