অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় কারাগারে আছেন পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। অথচ ‘অ্যাকটিভ’ দেখাচ্ছে তার ফেসবুক আইডি। মঙ্গলবার রাতেও ফেসবুক মেসেঞ্জারে তার আইডি অনলাইন পাওয়া যায়। এমনকি গত ৬ আগস্ট আদালত থেকে কারাগারে যাওয়ার দিনও তার আইডির ‘প্রোফাইল পিকচার’ পরিবর্তন করা হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় হত্যা ও মাদক আইনে এবং রামু থানায় মাদক আইনে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় নিহত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে থাকা শাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা রানী দেবনাথকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এরপর, ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৬ আগস্ট বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ ৭ আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
মামলার শুনানিতে র্যাবের পক্ষ থেকে প্রত্যেক আসামির ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ এবং এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি ৪ জনকে ২ দিন কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
চারজনকে কারাফটকে ২ দিন জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন করে র্যাব। ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত এবং এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে র্যাবের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে।
পুলিশের দায়ের করা রামু থানার মামলায় সিনহার সহযোগী স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী শিপ্রা রানী দেবনাথ রোববার জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে। অপরদিকে টেকনাফ থানায় দায়ের করা ২টি মামলায় মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে থাকা শাহেদুল ইসলাম সিফাত গতকাল সোমবার জামিনে কারামুক্তি পান।
এর আগে, বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে সিফাতের মামলা দুটি বিবাদী পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের ভার র্যাবকে দিয়েছেন আদালত।