সংযুক্ত আরব-আমিরাতের দুবাই যেতে কভিড-১৯ মুক্ত সনদ বাধ্যতামূলক করেছে দেশটির সরকার। আগামী ১৭ জুলাই থেকে নতুন এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। কিন্তু দেশটির রাজধানী আবুধাবি যেতে এই ধরণের কোন সনদ লাগবে না। আরব-আমিরাত সরকারের এমন নির্দেশনার কথা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ বিমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বাংলা এক্সপ্রেসকে বলেন, আরব-আমিরাত সরকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছে বলে এমনটি হচ্ছে। এখানে আমরা কিছু করছি না।
তিনি বলেন, ১৬ জুলাই থেকে দুবাইগামী যাত্রীদের ভ্রমনের আগেই কভিড সনদ জমা দিতে হবে এবং আরব-আমিরাত সরকার নির্ধারিত বাংলাদেশের অনুমোদিত ল্যাব থেকে সনদ নিয়ে ভ্রমন করতে হবে। সেই সনদের মেয়াদ অবশ্যই ৯৬ ঘণ্টা থাকতে হবে। কেবলমাত্র কভিড-১৯ নেগেটিভ সনদধারীরাই বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন।
এর আগে আরেক নির্দেশনায় বাংলাদেশ বিমান বলেছিল, বাংলাদেশ থেকে দুবাই-আবুধাবি যেতে কভিড-১৯ সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এখন সেটির পরিবর্তন হলো।
কিন্তু বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ এখনও যাত্রীদের জন্য ঘোষণা দেয়নি কোথায় কভিড পরীক্ষা এবং সনদ নিবেন। জানতে চাইলে তাহেরা খন্দকার আরো বলেন, উৎকণ্ঠার কিছু নেই। বিমানের পক্ষ থেকেই প্রত্যেক যাত্রীকে ফোন করে বলে দেয়া হচ্ছে কোথায় কভিড টেস্ট ও সনদ পাবেন।
জানা গেছে, ১৬ জুলাই পর্যন্ত দুবাই যেতে কোভিড সনদ বাধ্যতামূলত না হলেও কোভিড সনদ না নিয়ে দুবাই যাওয়ার পর বিমানবন্দরে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাংলাদেশিরা।
জানতে চাইলে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে ঢাকা হয়ে দুবাই যাওয়া চট্টগ্রামের বাসিন্দা এবং শারজাহ প্রবাসী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ইমিগ্রেশন চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকেই সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে কভিড সনদ প্রয়োজন হয়নি। তবে দুবাই বিমানবন্দরে নামার পর যেসব যাত্রীদের কোভিড সনদ ছিলো তারা দ্রুত ইমিগ্রেশন শেষ করে বের হয়ে গেছে। কিন্তু বেশিরভাগ যাত্রীর কোভিড সনদ ছিলো না। তারাই ভোগান্তিতে পড়েছেন।
তিনি বলেন, কভিড সনদ না নিয়ে আসায় বিমানবন্দরে দুই ঘণ্টা বাড়তি সময় লেগেছে দুবাইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত আসতে। পরে সিদ্ধান্ত পেয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আমরা টেস্ট করেছি। এরপর অন্য কাগজপত্র জমা দিয়ে ইমিগ্রেশন শেষ করেছি। সেই টেস্টের ফলাফল পরদিন সকাল ১১-১২টার মধ্যে মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে চলে আসে। কভিড-১৯ মুক্ত সনদ পাওয়ার পর কাজ শুরু করেছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে দুবাই ও আবুধাবি যাওয়ার জন্য বিদেশি এমিরেটস এয়ারলাইনস এবং রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বাংলাদেশ বিমানই ভরসা। ১৭ জুলাই থেকে বাংলাদেশ বিমান ঢাকা থেকে সপ্তাহে তিনটি আবুধাবি এবং তিনটি দুবাই ফ্লাইট পরিচালনা করছে।