বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, করোনাভাইরাস রুখতে একটি অ্যান্টিবডি চিকিৎসা পদ্ধতির সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছেন। এ পদ্ধতিতে কৃত্রিমভাবে তৈরি অ্যান্টিবডি আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হবে। ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার দাবি, সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে এ চিকিৎসা দেওয়া হলে তা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী প্যাস্কেল সোরিয়ত বলেন, এ পদ্ধতিতে ‘দুইটি অ্যান্টিবডির সমন্বয়’ করে তা ইনজেকশনের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হবে। কারণ শরীরে দুইটি অ্যান্টিবডি নেওয়া থাকলে তা একটি অ্যান্টিবডির বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
টিকা উৎপাদনের চেয়ে অ্যান্টিবডি থেরাপি অনেক বেশি ব্যয়বহুল হবে। সোরিয়ত বলেন, বয়স্ক ও শারীরিকভাবে দুর্বল মানুষদেরকে এ ধরনের থেরাপির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কারণ, তাদের শরীরে টিকা প্রয়োগ করে ভালো ফল নাও পাওয়া যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) মহামারি মোকাবিলায় উদ্ভাবন প্রচেষ্টায় নিয়োজিত জোট (সিইপিআই) এর সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইন্সটিটিউটের তৈরি সম্ভাব্য করোনা ভ্যকসিন বিশ্বজুড়ে সহজলভ্য করতে এর ৩০ কোটি ডোজ উৎপাদনে সহায়তা করবে জোটটি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যকর বলে প্রমাণিত হওয়ার আগেই তা উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। মানুষের শরীরে চালানো পরীক্ষায় এ ভ্যাকসিন কার্যকর প্রমাণের সঙ্গে সঙ্গে যেন তা হাতের নাগালে পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে কোম্পানিটি। সম্ভাব্য এ ভ্যাকসিন নিয়ে ব্রাজিলেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যে চালানো পরীক্ষা যথাযথ ছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী কোম্পানি সেকিরাস ঘোষণা দিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য এক ভ্যাকসিন তৈরিতে সহায়তা করতে প্যারেন্ট কোম্পানি সিএসএল, সিইপিআই ও কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করছে তারা।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান