করোনা মহামারিতেও কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়ে আসলেও তার প্রভাব পড়েনি প্রবাসী আয়ে। করোনা মাহমারির শুরুতে কিছুটা কমলেও গেল মে থেকেই বাড়তে শুরু করে রেমিট্যান্স প্রবাহ। অর্থবছরের প্রথম চার মাসেই আয় বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসেই প্রবাসী আয় প্রায় ৯শ’ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৩ শতাংশ বেশি।
হুন্ডি বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং জমানো টাকা দেশে পাঠিয়ে দেয়া, প্রবাসী আয়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এটি নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কারণ নেই বলে মনে করেন তারা। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এবং ফিরে আসা কর্মীদের কাজে ফেরাতে না পারলে কয়েক মাসের মধ্যেই রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের।
করোনা পরবর্তীতে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে দক্ষ জনশক্তি বিদেশে পাঠানোর ওপর জোর দিতে হবে। এ জন্য চাহিদা অনুযায়ী কর্মীদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।