প্রাণঘাতী করোনার ভ্যাকসিনের জন্য অধির অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব। করোনার ভ্যাকসিন আবিস্কার নিয়ে কাজ করা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, চীনের সিনোভেক এবং ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন বা মারডকচিলড্রেনস রিসার্চ ইন্সটিটিউট দাবি করছে এ বছরই তাদের ভ্যাকসিন পৌঁছে যাবে মানুষ কাছে। প্রতিষ্ঠান তিনটি টিকা আবিষ্কারের চেষ্টায় তৃতীয় ধাপে পৌঁছে গেছে।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে উত্তীর্ণ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনটি এখন চূড়ান্ত সাফল্য আশা করছেন সংশ্লিষ্ট গবেষণা দলের প্রধান সারাহ গিলবার্ট।
তিনি বলছেন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে ভ্যাকসিনটি মানুষের হাতে পৌঁছে যাবে। গতকাল চীনের সরকারি সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়েছে, চীনের রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি সিনোভ্যাক বায়োটেকের ভ্যাকসিনের শেষ ধাপের পরীক্ষা ব্রাজিলে শুরু হয়েছে। এটা অক্টোবরে বাজারে আসতে পারে।
ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন বা অস্ট্রেলিয়ার মারডক চিলড্রেনস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ভ্যাকসিনটি যদিও সরাসরি কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা করে না কিন্তু এটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এটিও চলতি বছর বাজারে ছাড়ার আসা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিশ্বে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে সবার আগে তা বাংলাদেশ পাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান। সচিব বলেন, যুক্তরাজ্য, চীনসহ অনেক দেশই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দ্বার প্রান্তে রয়েছে।
তথ্যমতে, বিশ্বের যেসব দেশের মাথাপিছু আয় চার হাজার ডলারের নিচে, সেসব দেশ এই ভ্যাকসিন বিনা মূল্যে পাবে। যেহেতু বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দুই হাজার মার্কিন ডলারের কাছাকাছি, সুতরাং বাংলাদেশ এই ভ্যাকসিন বিনা মূল্যে পাবে।