করোনা রোগের সফল কোনো ভ্যাকসিন বা ওষুধ এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি।
অনেক ক্ষেত্রে কনভেলেসেন্ট প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে এই রোগের পরীক্ষামূলক চিকিৎসা করা হচ্ছে।
এই থেরাপিতে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি গুরুতর
অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।
এ ধরনের চিকিৎসার সফলতার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, নারীদের তুলনায় পুরুষের শরীরে করোনা রোগের উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হয়।
পুরুষের প্লাজমা জীবন বাঁচাতে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে।
যুক্তরাজ্যের এনএইচএস ব্লাড অ্যান্ড ট্রান্সপ্ল্যান্ট (এনএইচএসবিটি)-এর একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফলে এই দাবি করা হয়েছে।
এই প্লাজমা ডোনেট ট্রায়ালে দান করা প্লাজমাগুলোর মধ্যে পুরুষের প্লাজমায় ৪৩ শতাংশ এবং নারীর ২৯ শতাংশ অ্যান্টিবডি দেখা গেছে। নতুন এই বিশ্লেষণে বলা হয়, পুরুষরা নারীদের চেয়ে বেশি করোনাভাইরাস অ্যান্টিবডি তৈরি করে, যা তাদের আরো ভালো প্লাজমা দাতা করে তোলে।
এনএইচএসবিটির ব্লাড ডোনেশন বিভাগের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর প্রফেসর ডেভিড রবার্টস বলেন, ‘করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় আরো বেশি প্লাজমা দাতা প্রয়োজন। পুরুষদের বিশেষ করে আহ্বান জানাচ্ছি। করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের প্লাজমা দানের এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আমরা প্রতিটি প্লাজমা বিশ্লেষণ করেছি। দেখা গেছে পুরুষদের অ্যান্টিবডি লেভেল বেশি থাকে, যার মানে জীবন বাঁচাতে তাদের প্লাজমা বেশি সম্ভাবনাময়।’