কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট কবরস্থানের প্রয়োজন নেই। ব্যাগ না পাওয়া গেলে মরদেহ পলিথিনে মুড়িয়ে দাফন কাজ করা যাবে। এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
বুধবার দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এই তথ্য জানান।
নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃতদেহ নিজ নিজ ধর্মীয় বিধি অনুযায়ী সতর্কতা অবলম্বন করে দাফন ও সৎকার করা যাবে। নিয়মানুযায়ী সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ পলিথিনে মুড়িয়ে মনোনীত কবরস্থান কিংবা পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা যাবে। শুধু করোনা আক্রান্ত হিসেবে নির্দিষ্ট কবরস্থানে দাফনের কোনো প্রয়োজন নেই। পারিবারিক কবরস্থানেও মরদেহ দাফন করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মৃতদের সৎকারে ৩-৪ ঘণ্টা লেগে যায়। ৩ ঘণ্টা পর এই ভাইরাসের কর্মক্ষমতা থাকে না। এজন্য ছড়ানোর কোনো আশঙ্কা নেই।
ডা. নাসিমা বরাবরের মতোই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।
করোনাভাইরাস বিশ্বের ২১৩ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।বুধবার পর্যন্ত ৩ লাখ ৮২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।