করোনাকালে আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের স্পটে স্পটে চলছে প্রকাশ্য রমরমা জুয়ার আসর। যেখানে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে প্রশাসন কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে সেখানে সামাজিক দূরত্বকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে জুয়াড়িরা জমিয়ে তুলেছে জুয়ার আসর গুলো।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক হাইলধর ইউনিয়নের স্থানীয় এক যুবক জানায়, প্রতিদিন সকালে বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠতি বয়সের বেশ কিছু যুবক এবং স্থানীয় কিছু জুয়াড়ি মিলে এসব আসর জমিয়ে তুলেছে। দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসরগুলো চলে আসলেও করোনাকালে উপজেলায় দ্বিগুন হারে বেড়েছে জুয়ার আসর। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসন যখন ব্যস্ত তখন প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে জুয়াড়িরা জুয়ার আসর গুলো বেশ সরগরম করে তুলেছে। করোনাকালে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করে দেখা গেছে জুয়ার আসরগুলো বেড়েছে বেশ চোখে পড়ার মত। রাস্তা ঘাটে এমনকি হাট-বাজারে চলছে প্রকাশ্য জুয়া। করোনাকালে যেন আনোয়ারা পরিণত হয়েছে জুয়ার হট স্পটে।
মাঝে মাঝে পুলিশের হানা দিলে জায়গা পরিবর্তন করে আবারো পুরো দমে চলে জুয়ার আসরগুলো। এই নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক জায়গায় স্থানীয় প্রতিনিধিদের কারণে জুয়াড়িরা সুবিধা করতে না পারলেও আবার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় জুয়াড়িরা প্রভাবশালী হওয়ায় হরদম চলছে জুয়ার আসরগুলো। সব চেয়ে বড় জুয়ার আসর হচ্ছে ২নং বারশত ইউনিয়নের পারকি গ্রামের শরীফ মল্লা দিঘির পূর্ব পাড়ে। এখানে সারা রাত ধরে চলে জুয়ার আসর। এছাড়াও উপজেলার আরো বেশ কিছু জায়গায় চলে জুয়ার আসর। বিশেষ করে হাইলধর ইউনিয়নের ইছাখালী সাঙ্গু নদীর তীরে,পীরখাইন, বারখাইন, বরুমছড়া এলাকাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায়। সব কিছুকে তোয়াক্কা না করে ইছাখালী সাঙ্গু নদীর তীর ও চৌমুহনী এলাকায় চলে প্রকাশ্য লাখ লাখ টাকার জুয়ার আসর। এসব জুয়ার আসর বন্ধে কি ভূমিকা রেখেছেন জানতে চাইলে হাইলধর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জামাল উদ্দীন বলেন,আসলে এটি একটি লজ্জাজনক বিষয়। আমি বেশ কয়েকবার চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ করে এই জুয়ার আসর গুলো বন্ধ করতে চেষ্টা করেছি। স্থানীয় বেশ কয়েকজন মানুষ এই জুয়ার আসর গুলোতে বসে নেতৃত্বে দেয় যার ফলে এই জুয়ার আসর গুলো বার বার বন্ধ করতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছি।
লকডাউনে জুয়ার আসর গুলো প্রকাশ্য চললেও প্রশাসন বন্ধ করতে কতটুকু প্রদেক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, প্রশাসনে একটি অংশ করোনার দায়িত্বে থাকায় কিছু দুষ্টু চরিত্রের লোক সেই সুযোগটা ব্যবহার করেছে। তার পরেও জুয়া বন্ধ করতে পুলিশ প্রশাসন বদ্ধ পরিকর। বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এই বিষয়ে গ্রাম্য পুলিশ কে দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে। যেখানে এসব জুয়ার আসর হয় বলে পুলিশের কাছে তথ্য আসে সাথে সাথে পুলিশ সেখানে অভিযান পরিচালনা করছে।
উৎসঃ মানবজমিন