বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসনসহ যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন তাদের কেউ আক্রান্ত হলে গ্রেডভেদে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আর যদি কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তাহলে এর পাঁচগুণ আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।
তবে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও বিমানবন্দরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ সুবিধার আওতাভুক্ত করা হয়নি। তাই এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও এ ক্ষতিপূরণ দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা মহামারির মধ্যে এ মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদর দফতর, তার নিয়ন্ত্রণাধীন অন্যান্য দফতর ও বিমানবন্দরগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে অফিসিয়াল কর্মকালীন সময়েও যাত্রী সাধারণের গমনাগমনের ক্ষেত্রে সাধারণ, স্পেশাল ও চার্টার্ড বিমানে যাত্রী পরিবহন এবং
কার্গো পরিবহন বিমান চলাচলে জরুরিসহ সব সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।’
‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ অনান্য বিমানবন্দরে ২৪ ঘণ্টা খোলা রেখে যাত্রী ও কার্গো সেবা প্রদান করতে হচ্ছে। বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তারের প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে কার্গো বিমানের মাধ্যমে মালামাল ও অন্যান্য বিমানের মাধ্যমে যাত্রী সাধারণের আগমনের ফলে বিমানবন্দরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বলছে, ‘প্রজাতন্ত্রের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ গত ২৩ এপ্রিল একটি পরিপত্র জারি করে। ওই পরিপত্রে ডাক্তার, নার্সসহ করোনা ঝুঁকির মধ্যে যারা দায়-দায়িত্ব পালন করছে তাদের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদানের ঘোষণা করা হয়েছে। ওই প্রাধিকারের তালিকায় প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মচারীও অন্তর্ভুক্ত আছে।’